পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪৩৬ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । সিংহাসনে, পরাইব মুকুট মাথায় । জীবনের আশা-স্বপ্ন করি চরিতার্থ মুখে, ভারতে অনাৰ্য্য রাজ্য করিব প্রচার। পাবে কারু এত দিনে সীমা আকাঙ্ক্ষার " “কলি এ প্রভাস-ক্ষেত্রে অনাৰ্য্যের যেই রাজ্য হয়েছে স্থাপিত"-কহে বাকি বিহবল— *তার কাছে তুচ্ছ রাজ্য, তুচ্ছ ধরাতল । আমরা বনের পশু, কোথা পাব হেন রাজ্য ? কোথা পাৰ সেই জ্ঞান, সে প্রেম অতুল ? কারু রে । এখন তোর গেল না কি ভুল ? রাতুল চরণদ্বয়, যে রাজ্য মহিমাময়, চল যাই সেই রাজ্য করি অধিকার ! এমন সন্তাপ-হর রাজ্য এই ধরাতলে আমরা পণ্ডিত নাহি পাইব রে আর ” কাদিতেছে নগরাজ ! অস্তুর-রোদন কারু নিবরি পাষাণী মত কহিল আবার- { “তুলিলে কি দাদা ! কৃষ্ণ শত্রু যে তোমার ” বাসুকি । শত্ৰু কৃষ্ণ !—না না, কারু ! হায় ! এ জীবনে আমি ভাবি নাহি শক্র কৃষ্ণ,--ভাবিব কেমনে ? পিউর রক্ষিত, শিগু, আমার কৈশোর বন্ধু, লুণে, বনে, মিশিয়াছি জীবনে জীবনে । দেখিয়ছি অৈিকশোর তাহার সে দেব-রূপ-- পীতাম্বর, বনমালা, শিথিপুচ্ছ শিরে । শুনিয়াছিদেবকণ্ঠ, নর-করুণার গীত, ' বনেঃ পাষাণ আমি ভালি অশ্রনীরে। করিয়াছি আলিঙ্গন দেব-দেহ লীলাময়,