পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমিতাভ । । ১৫৩৫ অধীর হইল প্রাণ, ৰহিল প্রথম এই বিশ্বব্যাপী করুণার পুণ্য প্রস্রবণ। করুণার অশ্রািজলে, করুণার পরশনে, হইল বিগত ব্যথা, বঁচিল মরাল ; " কুমার লইয়া বুকে, মুগ্ধা জননীর মত চাহি ক্ষুদ্র মুখপানে রহে কিছু কাল । কি মহিমা করুণার । কাননের বিহঙ্গেও বুঝে তাহ, কি মধুর করে প্রতিদান ! উভয়ে উভয় পানে . নীরবে চাহিয়া, কিবা করুণায় উভয়ের বিমোহিত প্ৰাণ । জালি দেবদত্ত কহে-- "কুমার, এ হংস মম, মম শরে হয়ে হত পড়েছে ভূতলে ।” কুমার কহিল ধীরে— “হতজীব হত্যকারী পায় যদি ভাই ! কোনো ধৰ্ম্মশাস্ত্র বলে, যে দেয় জীবন তারে, সে কি তারে পাইবে না ? হত নহে এই হংস, আহত বেল, আঘাতের ব্যথা ভাই । . আজি বুঝিয়াছি আমি, হংসের ব্যথায় প্রাণ হয়েছে বিকৃল । তোমারো ত আছে প্রাণ পাখীটির ক্ষুদ্র প্রাণে বুঝ না কি, কি যে ব্যথা পেয়েছে বিষম ? লও তুমি শাক্য রাজ্য, আমি নাহি চাহি তাহ ; এ হংস আমার , আমি দিব না কখন ". শাক্য-পুত্র দেবদত্ত, স্তম্ভিত বিশিষ্ট্রচি, দেখিল, কুমার নন্তে-মূৰ্ত্তি কঙ্কশৱ । কিবা করুণার গীতি তাহারে দ্বয়ে আজি প্রবেশিল, পরশিল হৃদয় তাহার ।