পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী। শুনিয়া ঈষৎ হাসি কহিলা কুমার “এ নহে কুস্বপ্ন গোপ | পুণ্যবতী ভূমি দেখিয়াছ পুণ্যময় পবিত্র স্বপন । জন্ম জরা মরণের দুঃখভারে ধরা দেখিয়াছ প্রকম্পিত, হবে দুঃখরাশি উন্মুলিত, উৎপাটিত, বৃক্ষরাজি মত, নবধৰ্ম্ম মহাঝড়ে । যেই মহালোক হইল নির্গত এই রাজপুরী ত্বতে, আলোকিবে মানবের মোহ-অন্ধকার । ' ছিন্ন করি মোহ-জাল আভরণ মত স্বৰ্গীয় ভূষণে প্রিয়ে ৷ হইব ভূষিত আমরা, ত্যজিয়া ক্ষুদ্র ছত্ৰদণ্ড এই হইব ত্রিলোক মধ্যে একছত্র পতি । হইও না ভীত গোপা ! হও আহলাদিত । করিও না শোক, কর মুখ আহরণ। এ নহে কুস্বপ্ন, মহা প্রীতি মুখে স্বর্থী হইব আমরা ; মুখী হইবে জগৎ।' ছাড়িয়া নিশ্বাস, সদ্যঃপ্রস্থত প্রস্থন লইয়া হৃদয়ে গোপা হইল নিদ্ৰতা । সেই ত্রিদিবের বক্ষে ত্রিদিব-কুস্কম করি বলে আকৰ্ষিত নেত্ৰ কুমারের, তুলিল কি নবোম্বুসি হৃদয়ে তাহার,— সিদ্ধার্থ রহিল চাহি চিত্রিতের মত। বৈরাগের শিলা বেগে চলিল ভাসিয়া সেট উচ্ছ্বাসের লোতে ; উঠিয়া কুমার পর্যক্ষ হইতে রে ভ্ৰমিতে গলি