পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> > ebo . নবীনযুদ্রের গ্রন্থাবলী। ছাড়ি সেই স্বৰ্গ, ছাড়ি পিতা, মাত, ভ্রাত, ছিন্ন করি সে অনস্ত স্নেহের বন্ধন, কুঁচিতে অনার্য্যা লতা পারে না কথন। মানব-হৃদয় সিন্ধুনদ শতমুখ ;– কত আশা, কত তৃষা, কত ভালবাসা । অবরুদ্ধ সৰ্ব্বস্রোত মম হৃদয়ের। - এক স্রোতে হয় । আমি দিয়াছি ঢালিয়া এ জীবন, এ হৃদয় ; সহোদর-স্নেহ সেই স্রোত, সেই স্বর্গ। জীবন-প্রবাহ,– ' অম্লানবদনে পারি রোধিতে তাহা ; এ প্রবাহ, অভাগিনী পরিবে না, হায় ! দাসী বন-নিবাসিনী ; বন-বিহঙ্গিনী কাটিবে পিঞ্জর, নহে ত্যজিবে জীবন অনাহারে অভাগিনী, তথাপি কথন গটিবে না স্নেহময়ী মেহেব বন্ধন ওকি দেখা যায় ওই ! আসিলা আমার এই বুঝি দাদা ! ওই।--দাদ! দাদা দাদা! যেমতি পিঞ্জর-মুক্ত বন-বিহঙ্গিনী, ছুটিয়া রমণী বেগে আনন্দে অধীর, পড়িল বাকি বক্ষে। গলা জড়াইয়া কহিল কাদিয়া-দাদা। ছাড়িয়া আমারে কেমনে রহিলে তুমি বল এত দিন । ভূমি বিনা এ জগতে কি আছে আমার ” উচ্ছ্বাসে লইয়া বুকে চুম্বিয়া আদরে, কহিলা বাস্থকি, নেক্স ক্ষেহে ছল ছল,— “কাকু ! কার । পাগলিনি ? আসিতে আমার