পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমিতাভ, ' ১৬৩৭ দিন দিন যশোরাশি হইল বিস্তৃত চারিদিকে, বারাণসী করি বিপ্লাবিত, বর্ষা অস্তে বহু শিষ্যে হইয়া বেষ্টিত চলিলা মগধে পুনঃ । " আছেন বসিয়া একদিন গন্ধহস্তি পৰ্ব্বতে গয়ায় । সহ শিষ্য, দার্শনিক পণ্ডিত কাশুপ : অগ্নিহোত্র স্থবিখ্যাত বসিয়া নিকটে । অদূরে উঠিল জলি ঘোর দাবানল । গৌতম চাহিয়া সেই ভীম অগ্নি পানে কহিলা—“কাস্তাপ । দেখ বেগে দাবানল জ্বলিতেছে কি ভীষণ । হায় ! নরনারী যত দিন থাকে মোহে অবিদ্যা-অধীন, দহে চিত্ত তাহাদের কামনা-অনলে এইরূপে, জগতের গন্ধ রূপ রস ষত করে অনুভব, মুখের কামনা বড়ে তত, তত দুঃখ হয় ঘনীভূত ; তত জন্ম-মৃত্যু-চক্রে হয় আবৰ্ত্তিত ! আমার নিরাণ-ধৰ্ম্ম-মন্দিরের দ্বর ইস্ক্রিয়সংযম ; শান্তিপূর্ণ অভ্যন্ত । এই দ্বারে প্রবেশিলে বহ্নি বাসনার নাহি পারে উত্তেজিত করিতে হৃদয়। ইন্ধনবিহনে অগ্নি হয় নির্বাপিত । ইন্দ্রিয়ে না যোগাইলে বিষয়-ইন্ধন কামনার দাবানল হয় নির্মাপিত, কগুপ! মানৰ শান্তি লভে অবিচল, কামনা নিৰ্ব্বাণে হয় দুঃখের নিৰ্ব্বাণ ।”