পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৪০ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । তোমার পবিত্র মুখ ; স্বাত্তর ত্যজিতে দেহ তব ধৰ্ম্মামৃত পান করি, ষোগিবর । তুমি করুণার সিন্ধু, মাগিছে বরুণা তব তোমার জনক বৃদ্ধ জীবন-সন্ধ্যায়। মাগিতেছে শাক্যপুরী, মাগিতেছে শাক্যরাজ্য, তোমার করুণা ভিক্ষ আকুল তৃষ্ণায়।” মধুৰ বসন্তকাল, মলয় অনিল ধীরে বহিছে মধুবে মধু ঢালিয়া ধরায় সে মধুর পরশনে ফুটিয়াছে ফুলরাশি, ছুটিয়াছে স্বধস্রোত বিহঙ্গগলায় । আকাশের নীলিমায় ভাসিতেছে কি মাধুরী, ভাসিতেছে কি মাধুরী বহুধা খামায় ! কি মাধুী চন্দ্র করে, কি মাধুরী সরোববে, বহিতেছে কি মাধুরী তটিনীধারায় ! বসন্ত-পরশে বিশ্বে ভাসিতেছে কি পুলক, সাধকের দেহে যেন দেব-প প্ৰশনে । ; বিশ্বের ঈদয়ে যেন হষ্টয়াছে সঞ্চারিত নিৰ্ব্বাগের মহামুখ বসস্থের সনে ; পথে নির্মাণের স্রোতে ভাসাইয়া বহু রাজ্য আসিলেন বুদ্ধদেব কপিলনগরে, নগব-বাহিরে বনে রহিলেন শিষ্যসহ, ছুটিল নগরবাসী আকুল অস্তরে । নীরব আনত মুখে, ভিক্ষাপাত্র হেম করে, গৈরিকে আবৃত হেম-বপু জ্যোতিৰ্ম্ময়, জটার কিরীট শিরে, কাঞ্চন শেখরে যেন । হইয়াছে শরতের মেঘের উদয় ।