পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । وی به د: ভিতর হইতে পূর্ববং মধুর কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন,—“দিবে কি ?” তাহার স্বামী বলিল,-“বাবুর যাহা খুলি দিবেন। তাহ কি আবার জিজ্ঞাসা করিতে হয় ?” বেদেনী তখন আবার জীমূতমন্দ্রে গর্জন করিয়া কহিলেন,--“তুই আবার আমার সঙ্গে লগতে আসিলি, আমি বাবু টাবু তিনি না, এই খাটিয়া আসিয়াছি, যদি বাবু হয়, দুই টাকা দেয় ত খেলব । - অনাথনাথ স্বীকৃত হইলেন, বেদেনীর মন তখন বড়ই প্রসন্ন হইল। সে অাট গণ্ডার বেশী কখনই পায় নাই, তাহাতে দুই টাকা । তার উপর বাবুকে সন্তুষ্ট করিলে টাকাটা সিকাটা আরও কোন দিবেন না ? তখন সে মধুর কণ্ঠে “এই আমরা আসিতেছি” বলিয় শষ্য ত্যাগ করিয়া, সাজ সজ্জা করিতে লাগিল । আর পীচ মিনিট পরে ঢোল বাজাইয় তাহার বজরার সম্মুখে উপস্থিত হইল। বা বালিকা দুটি রাধাকৃষ্ণবেশে সজ্জিত হইয় এক অপূৰ্ব্ব শ্ৰী ধারণ করিয়াছিল। বালিকার হাত ধরিয়া বালক আনন্দে নাচিতে নাচিতে আসিতেছে, সঙ্গে সঙ্গে মাথার চূড়া নাচিতেছে। ঢোলের শব্দ শুনিয়া সমস্ত দ্বীপের নরনারী ও বালকবালিকাগণ উদ্ধশ্বাসে ছুটয়া আসিল । দেখিতে দেখিতে লোকারণ হইল, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, খেল আরম্ভ হইল। প্রথম বাজিকর নিজে কুয়েকটি অদ্ভূত কৌশল দেখাইল । বেদেনীর খাটুনির মধ্যে মন্দিরাবাদন, এবং বালকবালিকা যে বেদের সঙ্গে সঙ্গে গান করিতেছিল, সময়ে সময়ে তাহার সঙ্গে তাহার অপূৰ্ব্ব কণ্ঠের মোগদান। তাহ না দিলেই ভাল হইত। বেদে খেলার সময়ে বালিকা ঢোল বাজাইতে ছিল । তাহার পর সে ও বালক ধড়চূড়া ও মুকুট খুলিয়। ব্যায়াম করিতে আরম্ভ করিল। সে ব্যায়াম দেখিয়া দর্শকগণ