পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

༣༢༤༠ মবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । চোখ দেখছ,এতে কিছুই দেখিতে পায় না। আমি হাড় কালী কবিয়া, খাট, উহাকে খাওয়াই, তাশন্তে উছার চলে। ও না বলিল কেন, তা জান ? মেয়েটি আমার পূর্ব স্বামীর । তাই ওর মেয়ে নয় বলিয়াছে।” তখন আবার স্তম্ভিত,স্বামীর দিকে চাহিয়া বলিল,—“ওকে আপনার মেয়ে বলিতে যেন ওঁর লজ্জা হয়, পোড়া কপাল আমার ! আমি এমন কাণার হাতেই পড়িয়াছি । আমার শরীরটা জলিয়া কাল হইয়া গেল।” ক্রমে সামুনাসিক স্বর বৰ্দ্ধিত হইয়া কৃত্রিম বেদনে পরিণত হইল, এবং অঞ্চলের দ্বারা কোটরস্থ চক্ষু ফুটি মার্জিত হইতে লাগিল । অনাথনাথ একটু চুপ করিয়া থাকিয়া বলিলেন,—“কই, মেয়েটি ত তোমাদের মেয়ে—বলিল না । সে ত বলিল, তাহার মা বাপ কে, সে জানে না ।” । একে বারে শিমুলস্থূপে অগ্নি বিক্ষিপ্ত হইয়া স্কুধু করিয়া জলিয়া উঠিল । বেদেনী ক্রোধে অধীর হুইয়া চীৎকার করিয়া বলিল,-“কি ! সেও আমার মেয়ে বলিয়া বলে নাই ! তারও আমাকে মা বলিতে লজ্জাবোধ হয়, পোড়ারমুর্শী । আমি আসি, তুই কোন বাদশ জাদী, আমি এখনই ঝ টার চোটে পরিচয় जड़ेद ।” রমণীরত্ব উঠা যাইতেছিলেন, অনার্থনাথ যাইতে নিষেধ করিলেন। তিনি কিঞ্চিং কর্তৃত্বভাবের সহিত বলিলেন,— “যাইও না, ব’স ! তুমি সকাল হইতে মেয়েটিকে দু’বার মারিয়াছ। । সেই কণ্ঠ শুনিয়া ও সেই কর্তৃত্বভাবাপন্ন মুখ দেখিয়া সে কিছু ভীত হইল, এবং বসিয়া বলিল,-“মরিব না ? মারিব না ? এমন পোড়াকপাল মেয়েও গর্ভে ধরিয়াছিলাম। আমাবে যেখানে সেখানে গাল খাওয়ায়-ওর জন্তে আমার যেখানে