পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভানুমতী । २११७ রক্ষার জন্তে, আত্মরক্ষার জন্যে ব্যাকুল। এ দিকে মুষলধারে বৃষ্টি পড়িতেছে ; বৃষ্টিধারাও এরূপ বেগে পড়িতেছে যে, চক্ষু মেলিবার সাধ্য নাই ; শরীরের অস্থিতে পর্যন্ত যেন সে ধারা প্রবেশ করিতেছে, এবং দারুণ শীতসঞ্চার করিতেছে । তাহাতে রহিয়া রহিয়া শিলাবৃষ্টিও হইতেছে। লোকে পতিত বৃক্ষের গুলের নীচে, পতিত গৃহের চারে নীচে, ষে যেখানে পারিল, আশ্রয় লইল । অনাথনাথও সপরিবারে এক খানি চালের নীচে গেলেন, এবং পুত্রটিকে বুকে গইয়া পতিপত্নী সেই বিপদভঞ্জন মধুস্থদনকে ডাকিতে লাগিলেন । তখন এরূপ গাঢ় অন্ধকার যে, হস্ত প্রসারিত ' করিলেও দেখা যাইতেছিল না । কেবগ অন্ধকারে হামাগুড়ি দিয়া হাতড়াইয়া, পতিত চালের আশ্রয় লইয়াছিলেন । কেবল কখন কখন সমুদ্রগর্ভে সেই ভীষণ অগ্নিশিখ, কখন কখন স্থায়ী বিদ্যুৎপ্রদীপ্ত ধনকৃষ্ণ মেধস্ত মাত্র দেখা যাইতেছিল, এবং সেই অল্পেীকে ভীষণ সংহাংক্রীড়া নেত্রগোচর হইয়া হৃদয়ে আরও ভীতি সঞ্চারিত হইতেছিল। পীি পত্নী উভয়ে জীবনের অংশ বিসর্জন দিয়া, কেবল শিশুটিকে রক্ষা করি &ত ঐভগবানকে ডাকিতে ছিলেন । রাত্রি অনুমান এক প্রহরের সময়ে সমুদ্ৰ যেন ক্রমে ভীষণ হইতে ভীষণতঃ, এবং নিকট হইতে নিকটত্ব হইতে লাগিল । তখন অন}থনাথ প্রথম হইতে যে সমুদ্রপ্লাবনের আশঙ্ক করিতেছিলেন, তাহার সেই আশঙ্কা আরও গুরুতর হইল ঝড় তখন পশ্চিম সমুদ্রের দিক হইতে বহিতেছে বুঝিয়া, সে আশঙ্কায় তাহার কণ্ঠ ক্ষালু শুকাইয়া গেল। এ আশঙ্কা মনে উদিত হইবামাত্রই চারি দিকে লোকেরা গর্কি । গর্কি” বলিয়ু হাহাকার করিয়া উঠিল, এবং “চালে উঠ 1. গাছে উঠ ! বলিয়। চীৎকার করিতে লাগিল। অনাখনাথও পত্নী পুত্রকে লইয়া একটা চালের r