পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, ভানুমতী । ०११& নাকে মুখে কৰ্দমাক্ত জল প্রবিষ্ট হইয়া তাহার নিশ্বাস বন্ধ । করিয়া ফেলিল । অনাথনাথ মূচ্ছিত হইলেন ।

参 # ষষ্ঠ অধ্যায়। جستحه تسمیه রণক্ষেত্র। চৈতন্ত লাভ করিয়া অনাথনাথ দেখিলেন, এক কাষ্ঠখণ্ড জড়াইয়া ধরিয়া তিনি তাহার উপর মৃতবৎ পড়িয়া আছেন। তিনি সম্পূর্ণ বস্ত্রহীন । ধীরে ধীরে উঠিয়া কাষ্ঠখণ্ডের উপর বসিলেন। কর পদ সঞ্চালন করিয়া দেখিলেন, কর্দমাবৃত দৃঢ়ভূমি। একি সমুদ্র লো, না সমুদ্রগর্ভস্থ কোনও চূড়াভূমি ? তখন আকাশ নিৰ্ম্মল । সেই ঘটনার চিহ্নমাত্র নাই। কদাচিৎ কোথা ও দুই এক খণ্ড মেঘ নীল-সমুদের চড়ার মত দেখা যাইতেছে। সেই ঘোর ঘূর্ণঝটিকাও নাই। কেবল থাকিয়া থাকিয়া শ্রান্ত পৰনদেবের নিশ্বাসের মত এক একবার বাতাস বহিয়া বাইতেছে, এবং তঁহার আর্দ্র দেহে দারুণ শীতপঞ্চার করিতেছে। কৃষ্ণ-চতুর্দশীর আকাশে অনন্ত নক্ষত্ররাজি ফুটয়া আছে। নক্ষত্রের অবস্থান অবলোকন করিয়া অনাখনাথ বুঝিলেন, দ্বিতীয় প্রহর অতীত হইয়াছে। চারি দিক শাস্ত, স্থির, নীরব-নিশ্চল। অনাথনাথের আবার ভানুমতীর সেই গীত মনে পড়িল - “কি ভীষণ পুণে, দেখ' ত্রিভুবনে, নাচে কালী রণরঙ্গিণী ।” সেই তাণ্ডবনৃত্যের পর এই শাস্তি। অনাথনাথ সেই ভীষণ ঝড় ও সেই ভীষণ দৃশু সকল তবে স্বপ্নে দেখিয়াছিলেন ?