পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভানুমতা। । ১৭৭৭ হইল, যেন মানুষ আলোক লইয়া কি দেখিতেছে। ক্রমে ক্রমে দুব হইতে যেন মানুষুের অক্ষুট আৰ্ত্তনাদও তাহার কর্ণে প্রবেশ করিতে লাগিল। র্তাহার মত কি তবে আরও কেতু সমুদ্র-তরঙ্গে ও ঝটিকায় তাড়িত হইয়। আহত অবস্থায় এখানে পড়িয়া আছে ? তাহদের মধ্যে কি তাহার পত্নীপুত্র ও সেই অনাথ বালিকা থাকিতে পারে না ? এ সন্দেহে তাহার শরীরে আরও বল সঞ্চারিত হইল। তিনি সেই উলঙ্গ অবস্থায় সে সকল আলোক । লক্ষ্য করিয়া দক্ষিণ দিকে চলিলেন । কয়েক পদ যাইবার পর তাহার পায়ে কি cযন ঠেকিল। তিনি স্বচ্ছ অন্ধকারে বিশেষরূপে লক্ষ্য করিয়া দেখিলেন,—একটি মৃত মানবদেহ । এইরূপে পদে পদে মৃত মানব ও গো, মহিষ, ছাগ, পালিত পশু-পক্ষীর দেহ তাহার চরণে ঠেকিতে লাগিল । একটি দেহে পা পড়িবামত্র ক্ষণিকণ্ঠে রোদনব্যঞ্জন চাংকার উঠিল, কণ্ঠ স্ত্রীলোকের । অনাথনাথ চমকিয় এক পা সরিলেন, এবং জিজ্ঞাসা করিলেন,—“তুমি কে ? উত্তরে একটি ধবন নাম শুনিলেন। সে ক্ষীণকণ্ঠে জিজ্ঞস করিল,-“আমি কোথায় ?" | অনাথনাথ উত্তর করিলেন,-“বাগতে পারি না ।” তখন “হ আল্লা !" বলিয়া রমণী একটি বেদনব্যঞ্জক দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিল। অনাথনাথ তাহাকে উঠতে বলিলেন। সে আর উত্তর দিল না –তিনি নিজে বসিয়া তাহকে উঠাইতে গিয়া দেখিলেন, সেও তােহর মত উলঙ্গ। তাহাকে অতি কষ্টে ভুলিয়া বসাইলে সে যেরূপ ভাবে পড়িয়া গেল, তাহাতে অনাথনাথ বুঝিলেন, তাহার জীবন শেষ । হইয়াছে। যাইভে যাইতে কোথাও শিশুর ক্রুদন, কোথাও রমণীর রোদন, কোথাও পুরুষের আর্তনাদ শুনিতে লাগিলেন। অনাথনখের হৃদয় বিীর্ণ হইয়া গেল। তিনি একটি আলোকের