পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভানুমতী । ১৮ ১৯ না। কাজে কাজেই বিবাহবন্ধনের ছেদন শুনিবাৰ্য্য হইয়া পড়ে। অন্যথা, উভয়ের জীবন ঘোরতর অমুখের হইয় উঠে । তৃতীয়তঃ, একস্থানে একটি বৃক্ষ ও লতার চারা বোপণ করিলে উহার পরস্পরেই উপযোগী হইয়া, কেমন হুন্দরূপে বৰ্দ্ধিত হয়। কিন্তু একটি বদ্ধি দু লতা প্রোপণ করিলে সেরূপ হয় কি ? fiবাহের পর হিন্দুদের বরকল্প বুঝে, তাই রা এ জীবনের জন্তে সম্মিলিত হইয়ছে ; আর বিচ্ছিন্ন হইতে পরিবে না । তখন চেষ্টা করিয়া হইলেও, একে অন্তে ? ভাল সাপ পাত্র হইতে চাহে, এবং পরস্পরের সন্নৈকট্য এই চেষ্টার অঙ্কুকুল হয় । এরূপে উভয়ের মধ্যে প্রগাঢ় প্রেমের স্বই হয় । বিশেষতঃ, উ ভয়ের ভালবাস অন্ত কাহারও প্রতি সঞ্চারিত হইবার অলসপ থাঙ্গে না : এইটি একটি গুরুতর কথা । যেীলন সঞ্চাশ্লেষ্ট ইন্দ্রিয় সতেজ হইতে আপুস্ত হয় । যদি এ সময়ে কাহারে উপর চক্ষু পড়ে, এবং তাহার সঙ্গে বিবাহ না হয়, এই প্রেমের ছায়" পতি পত্নীর মধ্যে একটি অবরণের মত থাকিয়া ঘোরতর অমুখের কারণ হয়। এ সকল কারণেই হিন্দুর বিবাহ এত সুখশাস্তিপ্রদ, পতি-পত্নী বিচ্ছেদ অপেক্ষাকৃত এত অল্প । সী , বালকবালিকার বিবাহের ফলে কি সস্তান নিস্তেজ ও क्रौ१छँौदैौ इम्न न्; ? - অ ! হইতে পারে। কই ভারতের ইতিহাসে তাহার প্রমাণ নাই। আবহমানকাল হইতে বাল্যবিবাহ ভারতে চলিতেছে। তথাপি এতকাল রাজস্থান, পঞ্জাব, এবং উত্তরপশ্চিম ভারত, এমন কি, এ বঙ্গদেশ কি অপূৰ্ব্ব বীরভূমি ছিল ! তদ্ভিন্ন বিবাহ হইলেও যৌবনসঞ্চার পর্য্যস্ত দম্পতীকে স্বতন্ত্র রাখাই হিন্দুশাস্ত্রের ব্যবস্থা। উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে ইহা এখনও প্রচলিত । বঙ্গদেশে শাস্ত্রজ্ঞা যে সকল সময়ে প্রতিপালিত হয় না, সেই দোষ শাস্ত্রের নহে। লা। কিন্তু স্ত্রীলোকের অবরোধপ্রথা কি ভাল ।