পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভানুমতী । ১৮২ অ। এই অবাধ বাণিজ্য ও মোকদ্দমার দাবানলে ইন্ধন যোগাইতেছে ভূ বাতাস দিতেছে। আগে লেখাপড়াও, শিল্প ও বাণিজ্যের মত, জাতিগত ছিল। রাজ-শাসনে জাতিগত থাকিত । এখন তাতির ছেলে, কুমারের ছেলে, কামারের ছেলে, জেলের ছেলে, এমন কি, মেথরের ছেলে পর্য্যন্ত লেখাপড়া শিখিতেছে। উদ্বেগু চাকরি। ইহার ফলে ধ্বংসোন্মুখ শিল্প ও বাণিজ্য আরও ংস হইতেছে ; যাহীদের লেখা-পড়া পুরুষানুক্রমিক একমাত্র উপজীবিকা ছিল, তাহদের অন্ন মারা যাইতেছে, এবং আপনার উমেদারের যন্ত্রণায় অস্থির হইতেছেন। আর শিক্ষ-প্রণালীই বা কি । স্বয়ং নৃমুণ্ডমালিনী কালী ! করে এক দিকে ভীষণ পরীক্ষাখঙ্গ ও শিশুর স গুচ্ছিন্ন শির। অন্ত দিকে “সেনেটের" সদস্তদের ও শিক্ষাবিভাগের অধ্যক্ষদের জঙ্ক অভয়, ও স্বদেশীয় ও বিদেশীয় অপূৰ্ব্ব পাঠ্যপুস্তক-লেখকদের জন্ত বরদ কর । শবরূপী বঙ্গদেশের বক্ষে শিক্ষাপ্রণালী তাণ্ডবনৃতটুকরিতেছেন। যে দেশে পরীক্ষার নাম গন্ধ ছাড়া মহাপণ্ডিতসকলের অভূখীন হইয়াছে, সে দেশে প্রায় ভূমিষ্ঠ হইলে ই শিশুর পরীক্ষা আরম্ভ হয়। বৎসর বৎসর পরীক্ষা ত আছেই, তাহার উপর ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক, আবার “টেষ্ট” ( Test) । পরীক্ষাও আবার এক প্রকার অগ্নিপরীক্ষা । আবার এক সঙ্গে এত পুস্তক পড়িতে হয় যে, শিশুর সাধ্য নাই যে, একত্র বহিয়া লইয়া যায়। তাঁহাতে নাই, এমন বিষয়ই নাই । ১০ । ১২ বৎসরের শিশুকে ক্ষেত্রতত্ত্ব, উদ্ভিজ্জতত্ত্ব, রসায়নতত্ত্ব, নাশিখিতে হয়, এমন তত্ত্ব নাই । কেবল নাই অনবগুক ধৰ্ম্মতত্ত্ব। তাহদের খেলা নাই, পুস্তকের চাপে খেলার কথা দূরে থাকুক, অবসর পর্যন্ত নাই। আমোদ নাই, উৎসব নাই । তাঙ্কাদের স্বাস্থ্যরক্ষা করা হয় স্বাস্থ্য-তত্ত্বের বছি পড়িয়া। তার পর এতেক শ্রেণীত প্রত্যেক বিষয়ের নত