পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৩৮ নবীনচন্দ্রে এন্থাবলী। পতিত করিয়া রাখা আমাদের ধৰ্ম্ম হইতে পারে না। এই নিৰ্ম্মম বিদ্বেষমূলক অধৰ্ম্মে আজ ভারতের কত হিন্দু মুসলমান হইয়া হিন্দুসমাজকে কেবল যে হলি করিয়াছে, এমন নহে ; উহারা মহাশক্র হইয়া সোণার ভামুতকে জাতীয় বিদ্বেষে উচ্ছিন্ন করিতেছে। হিন্দু সমাজের এই জড়ত্বহেতু অনেক পূজনীয় ব্যক্তিকে, শিক্ষার্থ বিলাত গিয়াছিলেন বলিয়া, আমরা হাবুইতেছি। বীরভূমি পঞ্চনদ প্রদেশে এইরূপ সমাজচ্যুতকে গুদ্ধ করিয়া সমাজে লইবার জন্য "শুদ্ধিলড়া” স্থাপিত হইয়াছে। মাড়ওয়ারীরাও এইরূপ করিয়াছেন। কলিকাতা ও দুই এক জন শ্রদ্ধার্হ ব্যক্তি এইরূপে সমাজে গৃহীত হইয়াছেন । ভা। সে কি বাবা । হিন্দু খৃষ্টান হউক, মুসলমান হউক, দেশদেশাস্তরে যাউক, সে আবার হিন্দু হইতে পরিবে ? অ ! কেন পরিবে না ? হিন্দু শব্দ আমাদের কোনও শাস্ত্রে কি অভিধানে নাই। শুনিয়াছি, যখননের সিন্ধুনদ পৰ্য্যন্ত ভারত-জয় হইতেই এই শব্দের উৎপত্তি হইয়াছে। তাহারা *স উচ্চারণ করিতে পারি ত না । ইংরাজেরাও পারেন না। তাহার সিন্ধু নদকে হিন্দু নদ বলিত। তৎপ্রদেশবাসৗদিগকে হিন্দু বলিত । সেই হইতে এ দেশের নাম হিন্দুস্থান ও আমাদের ধর্থের নাম হিন্দুধৰ্ম্ম । যাহা হু টক, এই হিন্দুধর্মের মূলনীতি কি ? এই ভারতের শাসমুদ্ৰগিরি, ' আচট্টল গান্ধৱে ধে অসংখ্য লোক বাস করিতেছে, ইহাদের বিশ্বাস এক নহে, আচার এক নহে, আহার এক নহে, পরিচ্ছদ এক নহে, আকৃতি এক নহে, ভাষা এক নহে। অথচ সকলেই হিন্দু। ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস পর্যন্ত হিন্দুধর্মের মূল নহে। নিরীশ্বর সাংখ্য ও চাৰ্ব্বকও হিন্দু। দেবদেবীর পূজা হিন্দুধর্থের মূল নহে। আমাদের যোগী