পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয়া নাক সিটুকাইতেছ। এ তাহা নহে, মহেঞ্জ বাবুর ডাক্তারখানা একটি ক্ষুদ্র ইন্দ্ৰালয়। এমন স্বন্দর স্বসজ্জিত বাঙ্গালীর ভাঙ্গরখানা কোথাও দেখি নাই । ডাক্তারখানর মধ্যে র্তাহার বসিবার বক্ষটির গবাক্ষ সকল স্বরঞ্জিত চিত্র দৃশুবলির দ্বার মুসজ্জিত ! কক্ষের প্রাচীরে চীনদেশীয় নরনারীর বিচিত্র চিত্র শোভিতেছে । কক্ষস্থিত দ্রব্যাদি ঋক্ ঋক্ কবিতেছে । উহার সঙ্গে অল্প ক্ষণ আলাপের পর এতদূর সমপ্রাণত হইয়াছে, এবং তিনি এত অাদর করিতেছেন যে, আমার কানপুর,ছড়িতে हेक्ल করিতেছে না । - অদ্য প্রাতে কানপুর পরিদর্শনে বাহির হই। প্রথমতঃ গঙ্গার পয়ঃপ্রণালী দর্শন করিয়া নয়ন তৃপ্ত করি । হরিদ্ধারে গঙ্গার গর্ভে স্বাধ দিয়া একটি জল-স্রোত সোপানে সোপানে উদ্ধ হইতে এই কানপুরে আসিয়া আবার গঙ্গায় পড়িয়ছে। জগৎপ্রাণ, হইতে যেন একটি মানব-জীবন-লোও উৎপন্ন হইয়া, আবার জগৎ-প্রাণ-গৰ্ত্তে বিলীন হইয়া যাইতেছে। এক সোপান হইতে সেপোনাস্তরে জলরাশি গর্জন করিয়া শ্বেত-কুমুম-নিম্ভ ফেণমালায় বিকীর্ণ হইয় পড়িতেছে, সে দৃশু অতি সুন্দর । তবে তুমি যখন উড়িষ্যার 'কেন'ল' দেখিয়াছ, তখন তোমার ইহা তত নূতন ও চমৎকার বলিয়া বোধ হইবার কথা নহে। এই কেনেলের’ স্রোন্তোবেগে পরিচালিত হইয়া, স্থানে স্থানে যে সকল ময়দার কল চলিতেছে, তাহা কিন্তু তুমি দেখ নাই। é কৃষ্ণের একটি মধুমাথা নাম ‘কানাই বা ‘কান’, তাহা তুমি জান। বোধ হয়, ‘কান হইতেই এ স্থানটির নাম কানপুর ইস্বাছে। এরূপ পৰিত্ৰস্থান আজ একটু শোকসিন্ধু। সিপাহীবিরোহের সময়ে স্বেরূপ,নৃশংস পৃঙ্গ সঙ্কল এখানে অভিনীত হইয়াছিল, এমন আর কোথাও হৱ নাই। বিদ্ৰোং আরম্ভ