পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• প্রবাসের পত্র। ا«دzلا ষ্টেশনে আসিয়া, গাড়ীর ঘণ্ট খানিক বিলম্ব দেখিয়া, অপেক্ষীকক্ষে বসিয়া তোমাৰুে পত্র লিখিতে বসিলাম। চিরদিনই তোমাকে পত্ৰলেখা আমার পক্ষে এক আনন্দ । তথাপি এ দূর দেশ হইতে-পত্র লিখিতে যে মুখ বোধ হয়, এমন মুখ বুঝি জগতে অল্পই আছে। পূৰ্ব্বদৃষ্ট স্থান সকলের কথা এখন হাতে রাখিয়া, রুড়কিতে যাহা দেখিলাম, আজ তাহাই লিৰিব। সলিলস্বরূপ গঙ্গাদেবীর শক্তি আমাদের পুণ্যশ্লোক পূৰ্ব্ব পুরুষের বুঝিয়াছিলেন। তাই সলিলশক্তির পূজা প্রচলিত করাছেন। তাই বলিয়ছেন,- তাহার শক্তিপ্রভাবে ঐরাবত ভাসিয়া গিয়াছিল । কিন্তু আমাদের ভাগ্যবশতঃ, তাহার সে শক্তি কাৰ্য্য পরিণত করিতে পারিলেন না। মাতার প্রকৃত পুজা আমরা শিখিলাম না । শীতার কৰ্ম্মবাদ ঘুচিয়া, দেশে ৰেদাত্তদর্শনের মায়াবাদ আসিল। সংসার কিছুই নহে, মায়ামাত্র । জীবন কিছুই নহে নলিনীদলগত জলমাত্র। পড়িয়া গেলেই ভাল । এ শিক্ষাও মহৎ বটে ; কিন্তু জ্ঞানের এক অঙ্গমাত্র। আমরা এই এক অন্ধকে, এই আধ্যাত্মিক জ্ঞানকাওকে সৰ্ব্বস্ব ভাবিয়া, প্রকৃত কৰ্ম্মকাও ভুলিয়া গেলাম। আমরা তাই ডুবিলাম। পাশ্চাত্য বিজ্ঞান বুঝিল, ষে শক্তি ঐরাবতকে উড়াইতে পারে, তাহার দ্বারা কলের চাকা ঘুরাণ যাইতে পারে। ততোধিক দেখিলেন, দেশে জলাঙ্গৰে । কৰি হন, দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হয়, অথচ জীবনস্বরূপ ভাগীরথীর . জলরাশি ৰহিয়া সমুদ্রে পঞ্জিতেছে। যেখানে গঙ্গা প্রথম উহার জন্মস্থান বা পিত্ৰালয় হিমাচল হইতে পাতলস্থ সমতল ভূমিতে পণ্ডিয়াছেন, সেখানে গঙ্গার পার্থে হরিদ্ধারে গজা প্রপেক্ষা अडोर-. তর করিয়া খাল বা কেনেল কাট-এ অঞ্চলে “মহর” বলে, নাগ না হয় নৱ-গাৰ লোড রিই কত রনের .