পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ծծԵՀ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । মধ্যে বহুতর স্রোত বহাইয়া, শেষে কানপুরে নিয়া, পাশ্চাত্য বিজ্ঞান আবার গঙ্গার পূর্ব স্রোতে ফেললেন । ইহাতে অস্তুরবৰ্ত্তী স্থানসমূহে স্বর্ণ ফলিতেছে। রুড়কিতে কেনেল আসিয়া সোলানী নদীর পার্শ্বে উপস্থিত। নদীর সঙ্গে মিশাইয়া দিলে খালের জলও নদীপথে বহিয়া যাইবে । বিজ্ঞান, অদ্ভুত কৌশলে, নদীর বক্ষে প্রায় ৩ মাইল ব্যাপী এক মহাসেতু নিৰ্ম্মাণ করিয়া, সেতুর উপর দিয়া গঙ্গার লহর বা কেনেল বহাইয়া লইয়াছে। নীচে সোলানী নদী পূৰ্ব্ব-পশ্চিমে বহিয়া ষাইতেছে। সেতুর উপর দিয়া লহর উত্তর দক্ষিণে বহিয়া যাইতেছে। বর্ষাকালে স্থানটির যে কি শোভা হয়, বলা যায় না । ঐরাবতও ভাসিয়া গিয়াছিলেন । কিন্তু কেনেলের দুই পাশ্বে দুই বিরাট সিংহমূৰ্ত্তি ব্রিটিশদিগের জাতীয় চিহ্ন-ভ্র কুটী করিয়া স্রোতের দিকে চাহিয়া রহিয়াছে । ভগীরথ গঙ্গা আনিয়াছিলেন, তাহ" উপখ্যান । ব্রিটিশ সিংহ ধে এ অঞ্চলে গঙ্গা আনিয়াছেন, তাহা স্বচক্ষে দেখিলাম । ঐরাবত ভাসিয়া গিয়াছিল, মাতা এখন ব্রিটিশ সিংহের সঙ্কেজ অনুসরণ করিয়া প্রবাহিত হইতেছেন। কেনেলের জলের বেগে, স্থানে স্থানে কল ঘুরিয়া ময়দা পিধিতেছে। এ সকলকে জলের কল বলে । তাই বলিতেছিলাম, পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিকের যথার্থ শাক্ত । তাহারাই শক্তির প্রকৃত পূজা করিতেছে । আমাদের পূজা কেবল পুতুলপুঞ্জাই বটে । আমরা সত্যই অস্তঃসারশূন্ত পৌত্তলিক । জল সিদ্ধ করিলে বাষ্প উঠে, জলপাত্রের মুখে আচ্ছাদন থাকিলে, তাহা চক চক করিয়া বড়িতে থাকে, একবার উঠে, একবার পড়ে-ইহ আবহমান কাল হইতে আমরা দেখিয়া আসিতেছি। পাশ্চাত্য বিজ্ঞান বুঝিল, এ ক্ষুদ্র শক্তিকেও বড় কৰিয়া মানবের বৃহৎ কার্য্য লাধিত হইতে পারে। জলপাজের