পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫి$ e নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । - * 4* প্রস্তরনিৰ্ম্মিত সরোবরে পড়িতেছে। নির্গমপথ বন্ধ করিলে সরোবরটর মুখে মুখে জল হয়। সমস্ত স্থানটা বৃক্ষচ্ছায়ায় সমাচ্ছন্ন। শীতল, নির্জন এবং শান্তি প্রদ এমন স্থান আমি যেন দেখি নাই । রাজপুরী হইতে এ মটী গুপ্ত পথ, পৰ্ব্বতের অভ্যন্তর দিয়া এখানে অসিয়ছে । রাজমহিষীরা এই প্রথ দিয়া আসিয়া অবগাহন করিতেন এবং দেৱ দেবীর পূজা করিতেন । মূখ স্থানদর্শক আমাদিগকে বলিল, এই সুড়ঙ্গের মধ্যে “জোহর’ হইত ; যুদ্ধাবশেষে ইহাতেই বীরনায়ীরা পুড়িয়া মরিতেন । আমি তাহা বিশ্বাস করিলাম না । অনেক জিজ্ঞাসার পর বলিল, রাজপুরীর মধ্যে এই স্বভূঙ্গের অল্প মুখ আছে। আমরা উৰ্দ্ধশ্বাসে সেখানে গেলাম । ইহা টড সাহেবের বর্ণনার সঙ্গে মিলিল । এই সেই পৰ্ব্বতী ভ্যস্তরীণ কক্ষের পথ, স্বাহ তে সহস্ৰ সহস্র বীরনারীর প্রাণ বিসর্জন করিয়া, জগতের বিস্ময়কর সতীত্বের এবং সাহসের জ্বলন্ত ও জীবস্ত প্রধাণ রাখিয়া গিয়াছেন । তাহার . ভিতর প্রবেশ করিবার সাধ্য নাই । শুনিলাম, বন্ধ করিয়া দেওয়া হইয়াছে । আমি এই পবিত্র স্থানকে ভক্তিস্তরে প্রণাম করিলাম এবং ললাটে ইহার যুগ মৰিগাম। এইটা আমাদের একটা প্রকৃত মহাতীর্থ। । - হয়। গয় ! কি কুলাঙ্গারের, কি হৃদয়হীন নরাধমেরা, কি শৃগালেরাই সিংহুদিগের আসমে বসিয়াছে। যদি এই চিতোর ইংরাজদিগের কোনও রূপ ঐতিহাসিক ক্ষেত্র হইত, আজ সেই পদ্মিনীর পবিত্র আবাসগৃহ, সেই রাজপুরী, আমরা একটা বৃহৎ উস্তানে বিরাজিত দেখিতাৰ। সেই পৰিত্ৰ জোহর-কক্ষ, আজ শত আকাশ-গবাক্ষে আলোকিত হইত, কঙ্কটা ঐতিহাসিক । চিত্রে সজ্জিত হইত। আমরা চিত্রে দেখিত্তা, সময়ে সমৰে । কিরূপে বীরনারীরা সহজে সহস্ৰে অগ্নি প্রবেশ করিতেছেন,