পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 సెలి8 নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী। শৈলশৃঙ্গ ব্যাপিয়া দুর্গের অট্টালিকা। এই দুর্গ ও নগর, ভূমি জান, ষোধসিংহ স্থাপন করুিয়াছিলেন। তাই ইহার নাম যোধপুর । শৈলশেখর ম্বেরূপ স্তরে স্তরে উদ্ধে উঠিয়াছে, সেই রূপ স্তরে স্তরে অট্টালিকা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। তলার উপর তলা উঠিয়া, গগনস্পর্শী বিরাট মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া, মনে যুগপৎ ভয় ও বিস্ময়ের সঞ্চার করিতেছে। ইহার কক্ষগুলি অনতিবিস্তৃত, কারণ তাহারা পুরাতন, কিন্তু চিত্রিত ও মুসজ্জিত। তবে ইংরাজি সাজ সজ্জার তত বাড়াবাড়ি নাই ! একটা কক্ষে বাজত দোল রজত-শৃঙ্খলে ফুলিতেছে । তাহাব পশ্চাতে এক বিরাট আরসি। যখন যোধপুৰ্বাধিপতি এই দোলায় দুলিতে থাকেন, ভূবনমোহিনী মহিষীগণ কেহ বা অঙ্কে বসিয়া আছেন, কেক বা চন্দ্রকে ঘেরিয়া তারামালার মত চারিদিকে দোলা আলো করিয়৷ * বসিয়া আছেন, কেহ বা অলঙ্কার-ঝনৎকারে কক্ষ পূর্ণ করিয়া ভাগে তালে দোলাইতেছেন, ছলিতেছে রূপসী, দোলাইতেছে । রূপসী, তখন কি প্রতিবিম্বই না জানি আরঙ্গীতে প্রতিভাত হয়! ইচ্ছা হয়, আরসী হইয়া একবার সে রূপতরঙ্গের প্রতিবিম্বমাত্রও অনুভব করিয়া জীবন সার্থক করি। চটিতে ছ না ত ? কিন্তু, কি নরকুলাঙ্গারই ষোধার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত । । এহেন রাজপুরীতে র্তাহার তৃপ্তি হইল না । তিনি কতকগুলা অশ্বশালার মভ গৃহ নিৰ্মাণ করিয়া, তাহাতে উপপত্নী লইয়া বিরাজ করিতেছেন, রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কও নাই। দুর্গারে কি পবিত্র দৃপ্ত । রাজপত্নীগণ সহমরণে ধাইবার সময় হন্তে যে চম্বন মাখিয়া স্বামীর শবের সঙ্গে হর্গের বাহিৰে শ্মশানে খাইডেন, দুর্গের বাহির হইবার সময়ে, তাহার হই পাশ্বের প্রাচীরে পবিত্র করপথেৰ চিহ্ন রাৰিয়া যাইতেন। আমাদের সঙ্গে: পাওনিয়ারের সংবাদদাতা একটা সাহেব ছিলেন।