পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৪২ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । 蠍 রক্তবর্ণ রাজপথসমূহ গিরি-মঙ্গে যেন প্রৰালহারবিল।র মত শোভা পাইতেছে । উভয় পার্শ্বে মনোহর সৌধ ও উদ্যানমালা, এবং তাহার বিরাম-স্থান-পথে সমুদ্রের নীল কান্তি দর্শন করিয়া শকট · ভ্রমণ কি মনোহর 1, ফিরিবার সময়ে এই পৰ্ব্বতস্থিত পার্সিদিগের নীরব মন্দির” বা সমাধিস্থান দর্শন করি । মূল সমাধিস্থানটা একটা গোলাকার প্রাচীর মাত্র। তাহার অন্তৰ্ব্বত্তী স্থানটা চক্রাকারে তিন মণ্ডলে বিভক্ত করা হইয়াছে। কেন্দ্রস্থলে একটা কুপ , তাহাকে বেষ্টয়া যে মণ্ডল, তাহাতে শিশুদিগের, তাহার বাহিরের মণ্ডলে রমণীদিগের, তাহার বাহিরের মণ্ডলে পুরুষদিগের শব রক্ষিত হয় । প্রাচীরের এক স্থানে একটা গবাক্ষ আছে । মৃত ব্যক্তির আত্মীয়েরা এই গবাক্ষ পর্ষ্যস্ত শৰ লইয়া গেলে, সমাধিস্থ দুই জন ভৃত্য এখান হইতে শব ভিতরে লইয়া যায়। তাহারা ভিন্ন অন্ত কেহ ভিতরে প্রবেশ করিতে পারে না । তাহার পর শবটীর বসন মোচন করিয়া, উপযুক্ত মণ্ডলে রাখিয়া দেয়। অল্পকাল মধ্যেই শকুনে তাহ নিঃশেষ করিলে, ভূত্যের অস্থি সকল মধ্য কূপের গর্ভে ফেলিয়া দেয়। কালে উই চূণে পরিণত হইয়া, কুপতলস্থ জলপ্রণালী দিয়া পৰ্ব্বতের উপত্যকায় গিয়া, ভূমির সঙ্গে মিশ্রিত হইয়া ভূমির উর্বরাশক্তি বৃদ্ধি করে। মানুষকে এরূপ শকুনের আহাৰ্য্য করা আপাতত: গুলিতে বড়ই নিষ্ঠুরতা বলিয়া বোধ হয়। তবে চক্ষের উপর পোড়াইয় ফেলা, কিংবা ভূমিগর্ভে অসংখ্য কীটের আহার করিয়া দেওয়াই কি নিষ্ঠুরতা নহে । যখন অৰ্ঘ্যঞ্জাতিরা কেবল বৈদিক অগ্নির উপাসক মাত্র ছিলেন, তখন দুই ভাগ হই উত্তর কুস্ক হইতে এক শাখা ভারতে প্রবেশ করেন, অন্ত শ খা পারস্ত দেশে গমন করেন, ইহারাই পার্সি । , ভারতীয় মাৰ্য্যদিগের ধর্মের অনন্ত রূপাস্তুর ও উন্নতি হইয়াছে।