পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসের পত্র । । >૨8° , অন্ত প্রাষ্ঠে প্রথমে পাৰ্ব্বতীয় পৰ্ব্বত আরোহণ করি। বাইবার পথে পৰ্ব্বতের পালে একট ঞ্চিল, তাহার মধ্যস্থানে একটি দ্বীপ। ঝিল এখন গুস্ক, দ্বীপ এখন জঙ্গল । পৰ্বতে উঠিয়া প্রথমেই পাৰ্ব্বতীর মন্দিরে যাই । মধ্যস্থলে রঞ্জতনিৰ্ম্মিত শিব । “রজতগিরিনিভং’ ধানবাক্যের প্রতিমূৰ্ত্তি। এক পার্শ্বে স্বর্ণপাৰ্ব্বতী “তপ্তৰাঞ্চনাভা,”অন্ত দিকে সোণার গণেশ উভয়কে অঙ্কে লইয়া, মহাদের বিরাজ করিতেছেন। র্তাহার মহারাষ্ট্র বেশ, মাথায় একটি প্রকাও পাগড়ি। আমার বোধ হইল—সিদ্ধি, শক্তি এবং নিষ্কামত, যেন একাধারে এই ত্ৰিমূৰ্ত্তিতে বিরাজ করিতেছে। এই ত্ৰিমূৰ্বির বা ত্ৰিশক্তির সাধন দ্বারা শিবন্ধী মহারাষ্ট্র রাজ্য স্থা করিয়াছিলেন, মোগল রাজ্যের অধঃপতন ঘটাইম্বাছিলেন । এই মহাসাধন ভুলিয়, তাহার কাপুরুষ উত্তরাধিকারী বাজিরাও, সেই সাম্রাজ্য হরাইলেন, ভারতকে ইংরাজ-কবলে কবলিত করিলেন । ত্রিমূর্ভিকে ভক্তি ভরে প্রণাম করিয়া, পার্শ্বস্থিত মৃেদ্ধশ্বিরে আরোহণ করিলাম। এই মন্দিরের পার্শ্বে, শেষ মহারাষ্ট্ৰপিতি পেশোয়া বাজিাও অট্টালিকার ভগ্নাবশেষ বর্তমান বহিস্থাছে। অদূরে শৈলশেখরে শিবাজীর খ্যাতনামা হর্গত্রয়— সিংহগড়, রাজগড় এবং ব্লায়গড়- আকাশের গায়ে চিত্রপট দেখাইতেছে ; চারিদিকে গিৱিশ্রেণী আশশে তরঙ্গ খেলিয়া নীরবে দাড়াইয়া আছে। ইহাঙ্গের প্রত্যেকের অঙ্গে অঙ্গে মহারাষ্ট্রদিগের গৌরবের ও অধঃপতনের ইতিহাস লিখিত রহিয়াছে, একটি পৰ্ব্বতের কক্ষদেশে ‘চতুঃসংহ মন্দির একটি শ্বেত কুজমের মত শোভা পাইতেছে। ইহাতেও হরপাৰ্ব্বতীর মূৰ্ত্তি আছে। দশমী লিসে মহারাষ্ট্রগণ র্তাহাজের পূজা কৰিয়া,দেশসূত্রে এবং যুদ্ধে যাত্রা ক্ষণিতেন। আমার কর্ণে যেন সেই ৰীবৰু, সেই বয় ৰথ বধ ছবছৰ” বা স্বল্পঞ্জত শম্বের স্থা প্রবেশ করিডে লাগিল—