পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*st ఆ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । নৰ্ম্মদীর অন্ত নাম রেব, তাহ ভূমি জান। ‘ਬੋਜ হস্ত উদ্ধ হইতে, বহু ধারায় গর্জন করিয়া, নৰ্ব্বদা ভীষণ বেগে পতিত হইয়া এই অপূৰ্ব্ব জলপ্রপাত স্বষ্টি করিয়াছেন। নৰ্ম্মদ ৰেন অবিরাম সংখ্যাতীত শ্বেতকুম্বকুস্বম রাশি বর্ষণ করিয়া বিন্ধ্যপদ পূজা করিতেছেন। জল তুষারবৎ শীতল। তথাপি এই প্রাকৃতিক কবিত্বস্রোতে অবগাহন না করিয়! আমি থাকিঙে "পরিলাম না । প্রপাতের নীচুে নামিবার সাধ্য নাই। উপরিভাগে বসিয়াও স্নান করিবার সময় আমি স্থির থাকিতে পারিলাম না। স্রোতের বেগ এত প্রখর, কিন্তু চারি অসুলের অধিক জলের গভীরতা । नांझे ! ফিরিবার সময়ে, গৌরী-শঙ্কর দর্শন করি। জলপ্রপাত হইতে এই মনির পর্যন্ত, গিলি অসংখ্য আমলকী, বেল ও নানাধি বনজাত ফল বুক্ষে সমাচ্ছন্ন। দেখিলে, ঋষিদিগের পুরাতন আশ্রমের চিত্র মনে পড়ে । আমি কোন ৭ কোনও ফল খাইয়া দেখিলাম। মন্দিরটি একটি শৃঙ্গে অবস্থিত। মন্বিরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়া দেখিলাম-কেশবচঞ্জের নববিধান মধ্যস্থলে বৃষ রূঢ়া হরপার্বতী। তাহার উভয় পার্শ্ব স্থানে স্থানে গণপতির সঙ্গে বুদ্ধদেব নীরবে শোভা পাইতেছেন। মন্দিরের প্রাঙ্গণের চারি দিকে, প্রাচীরের মত শ্রেণীবদ্ধ কক্ষমালা। এতোক কক্ষে ঐক একটি মূৰ বিৱাৰিত। জয় বেণী সকলেরই ভগ্নাংস্থা। পাণ্ডা ঠাকুর বললেন, টেক্ট যোগিনী। কিন্তু আমি তাহাতে যোগিনীর গন্ধও দেখিলাম না। আমি দেখিলাম, অধিকাংশই মাহেশ্বরী প্রভৃতি বক্তবীজবধের মহাবিদ্যা ছয়বস্থাপন্ন হুইগ পড়িয়া আছেন। মনিয়টি এক সময়ে গৌরবাপন্ন ছিল, সন্দেহ নাই। এ পৰ্ব্বতের : গাদেশ হইতে নর্শদার উভয়ঠীরস্থ শৈলমালা ও উপতাকার , শ্ৰেষ্ঠ মনোমুগ্ধকর। ...