পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী। . ۹۰ هد আসিয়া, গ্রন্থকে ভক্তিভরে প্রণাম করিতেছেন। তাহার মধ্যম । ধেীবনের উত্তাল তরঙ্গায়িত রূপ, তাহার সেই ভক্তি ৭ প্রতিপূর্ণ, মুখস্ত্র, সেই চক্রাকার ভ্রমণ, সেই গ্রীবাভঙ্গী, সেই কক্ষ-আন্দোলন, সেই পদসঞ্চালন, আমি এ জীবনে ভুলিব না। তিনি সৰ্ব্বজ্যেষ্ঠ সহোদরের সহধৰ্ম্মিণী, গৃহের শ্রেষ্ঠ লক্ষ্মী । শুনিলাম, প্রতিদিন এ পরিবারের মঙ্গল কামনা করি, এরূপে সংস্রবার প্রদক্ষিণ করেন । বুঝিলে কি একবার কাওখানা কি ? বঙ্গদেশে এ জয় দৃপ্ত একদিন দেখিতে পাওঁয়া ধাইত। এখন সে স্বৰ্গ বঙ্গদেশ হইতে লুপ্ত হইয়াছে। বঙ্গস্থলীদের স্বামী এখন গুরু г. নহে, দেবতা নহে, একটি সামান্ত শাসনের বস্তু। স্বামীর পরিবার পরম শত্রু। তাহার ধৰ্ম্ম এখন স্বামীশাসন, * * * কিংবা স্বামীর চরিত্র সমালোচন করিতে কমিতে ২৪ বার অঙ্গুগীভঙ্গা, ২৪টি সাপের মন্ত্রের মত মন্ত্রপাঠ ! এরূপ ভাবে যদি কাছাকেও একখানি ধৰ্ম্মগ্রন্থ ২৪ বার প্রদক্ষিণ করিতে বল, তখনই ডাক্তার ডাকিতে হইবে ; মাথায় বরফ ঢালিতে হইবে। আমরা সভ্য হইতেছি, উন্নত হইতেছি, এবং অন্ধকার হইতে আলোকে আসিতেছি। এই সাধ্বীর এই প্রদক্ষিণব্ৰত দেখিয়া, দর্ঘ আমার কি পবিত্র, কি মহিমাপুর্ণ হইয়াছিল, তাহা বলিতে পারি না। আমাদের এ সকল সীতা সাবিত্রী কোথায় গেল ? - אי আহাৰ করি আমরা রওনা হইলাম। কাপড় পরিতেছি, প্রদীপধারিণী বড় কোমল স্নেহময় কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন,— “তোমরা কি সত্য সভ্যতা আজই যাইবে ? আমি বলিলাম,— “তোমাদের স্নেহের জন্য ধন্যবাদ, আজিই যাইব ।” তাহদের শ্বাশুড়ীর হন্তে বধূদের জন্য কিঞ্চিং দক্ষিণ দিয়া, আমরা বাড়ী হইতে কিং যে এট দোকানে এক্ট টা নিলাম।