পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১০৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রৈবতক কাব্য । চারি চক্ষু প্রীতিময়, কি যেন তরঙ্গ হৃদয়ে অমৃতময় ছুটিল নাচিয়া । ভদ্র ভাবিলেন মনে—“কিবা রূপান্তর ঘটিয়াছে প্রাণেশের এই কয় দিনে । নিদাঘ-ফ্যাক্স-রবি বীরত্বে কেবল নহে সেই মুখ আর । জ্ঞানেতে মধুর, উন্মেষ ভক্তিতে অষ্ট্রে, স্বালার্কের শোভা ধরিয়াছে সেই মুখ । ছায়া গাঢ়তর ঢলিয় জলদ চিন্তু, গাম্ভীর্য্যে তাহার করিয়াছে অতুলন মহিমাসঞ্চার। 'ভ্রাতার দেবত্ব-মাভ ভাসিতেছে তাহে, দেখিতেছি দিব্য চক্ষে । কিন্তু হৃদয়েতে নাহি যেন শান্তি র্ত্যর । কারণ তাহার এ দাসী কি, প্রাণনাথ ? আমি, হা অদৃষ্ট ! ক্ষুদ্র পতঙ্গের দুঃশ সহিতে না পারি, আমি তব এ গভীর হর্থের কারণ " দেখিলেম ধনঞ্জ,ভদ্রার বদন শান্ত্রির চিত্রিত ছবি, রেখাটিও তার হয় নাই রূপান্তর । কৃষ্ণের মতন গতত প্রসন্ন, শাস্ত, স্থির, চিত্তাশীল, প্রতিভায় সমুজ্জল, প্রীতিতে শীতল । চমকিলা সব্যপাচী ভাবিলেন,-“একি বিলোড়িত এ হৃদয় যেই ঝটিকায়, একটি হিল্লোল ওই কোমল হৃদয়ে তোলে নাহি ? তবে অমুরাগিণী মামার নহে কি স্বজ্ঞা –সন্ত্রমে অর্জন ।