পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবকাশরঞ্জিনী । ة هد তরল সে হাসি, আহ ! সতত তথায় বিরাজি’ছে যেন স্থির বিজলীর প্রায় । আবার সে মুখশশী গম্ভীর কখন, ঝড়-প্রতীক্ষায় যথা জলধি-জীবন ! সরলে তুলিয়া মুখ, সরল নয়নে চাহিল সরলভাবে, বিকাশি দশনে সরল সুনীর হাসি ; এ চিত্ত-দর্পণে প্রতিবিম্ব ছলে হসি হাসিল তখনে । চারি চক্ষু মুহূৰ্ত্তেক হইল মিলন, আবেশে সে পদ্মনেত্র মুদিল তখন । এই দৃষ্টি প্রবেশিয়া হৃদয়ে আমার, খুলিল এ অভাগার স্মৃতির দুয়ার । স্বদেশে—স্ববাশে মন উড়িল তখন, প্রেমের প্রতিমা কত করিমু দর্শন । কথন বা সহোদরা ভগ্নী চতুষ্টয়ে, কছু মম অভাগিনী এ পোড়া হৃদয়ে হইল উদয়, আহ । কি বলিব আর, প্রণয়-পূরিত হ’ল হৃদয় আমার । ঢাকিল ভাবনা মেঘে হৃদয় আকাশ, ঘুরিতে লাগিল ধরা, গগন, আবাস । অমনি রমণীদ্বয় কোমল চরণে প্রবেশিল ধীরে ধীরে রজত-প্রাঙ্গণে । বস্কন্ধর প্রেমভরে চুম্বিয়া চরণ, বলিলেন ঝিল্পিরবে,-“সৰ্থক জীবন।” কৌমুদী সস্নেহে কর কবি’ প্রসারণ, উভয়েরে শাস্তভাবে দিল আলিঙ্গন ।