পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবকাশরঞ্জিনী । ৩২১ । দ্বিতীয়ার চন্দ্র সখি ! গেল অস্তাচলে ! “খুলিল দ্বিতীয় অঙ্ক । জনক আমার— পিতৃনিৰ্মা, দেবগণ । ক্ষমিও আমারে – অস্ত্রধারী টলেমির বংশে বংশী-ধর (১১) কুলাঙ্গার । বিসর্জিয়া স্বাধীন মিশরে 'রোম-রূপী শার্দুলের বিশাল কবলে ; পতিহস্ত, পাপীয়সী, জ্যেষ্ঠ দুহিতার তপ্ত শোণিতাক্ত, ভ্রষ্ট সিংহাসনে মুখে আরোহিয়া,-বিধাতার কেমন বিধান ! পতিহস্তী চুহিতার কন্যা-হস্তা পিতা ! অবশেষে, হায় ! দুঃখ বলিব কেমনে । দশম বর্ষীয় শিশু কনিষ্ঠে অামার, করি আমি যুবতীর পতিত্বে বরণ – সেই খানে ক্লিওপেট্র-জীবন উষ্ঠানে, (১১) ক্লিওপেট্রার পিতা টলেমি বংশীবাদন ইত্যাদি লঘু আম্বোদে মগু হইয় প্রজার বিরাগ-ভাজন হওয়াতে তাহারা তাহাকে সিংহাসন-চু্যত করিয়া তাহার জ্যেষ্ঠা-কস্তাকে মিশরের রাঙ্গী করে। টলেমি রোমের সাহায্যে তাহার কন্যাকে পরাজিত করিয়া সিংহসন পুনঃপ্রাপ্ত হন—এই সময়ে এণ্টলি রোমান সৈন্তের এক জন অধ্যক্ষ হইয়া আইসেন। টলেমি র্তাহার জ্যেষ্ঠ-কন্যাকে বধ নে—এই পাপীয়সীও তাহার প্রথম স্বামীকে ইতিপূৰ্ব্বে ৰং করিয়াছিল। টলেমি মৃত্যু-সময়ে মিশর দেশের রীতি-মতে উইল দ্বারা ক্লিওপেট্রাকে তাহার একটী ১০ম বর্ষীয় ভ্রাতার সঙ্গে পরিণয়বদ্ধ এবং এক জন ক্লীব ত্বরাচারকে তাহদের অভিভাবক বিয়া বান।