পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবকাশরঞ্জিনী ! . ৩২৭ কণ্টকিল রমণীর কম কলেবর ; বিস্ফারিল নেত্রদ্বয় ; সহিল ন! আীর 篮 অবলা-হৃদয়, মূৰ্চ্চা হইল রমণী । স্বগন্ধ তুষার-বারি, নয়নে, বদনে, তুষার উরস শ্বেতে, সহচরীদ্বয় বরষিল ; কিছুক্ষণ পরে রূপসীর অচল হৃদয়-যন্ত্র, জীবন-পবনস্পর্শে চলিল আবার ; খুলিল নয়ন,— প্রভাতে দক্ষিণানিল, কোমল পরশে, উন্মিলিল যেন ধীরে কমলের দল । অৰ্দ্ধ-উন্মিলিত নেত্র, এক দৃষ্টে চাহি কক্ষে বিলম্বিল এক চারু চিত্র-পানে, বলিতে লাগিল বামা—“ওই, সহচরি । ওই যে দেখিছ চিত্ৰ,--নিসর্গ-দৰ্পণ !— অপূৰ্ব্ব অঙ্কিত। ওই দেখ ওই, । ‘চিদনস’-স্রোতে ওই প্রমোদ-তরণী, (১৭) ভাসিতেছে, নচিতেছে, বারিবিহারিণী । হাসিতেছে, জ্বলিতেছে পশ্চিম-তপনে, প্রতিবিম্বে ঝলসিয়া তরল সলিল । ময়ুর ময়ূরী প্রেমে মুখে মুখ দিয়া, বঙ্কিম গ্রীবায় ভাসে তরী-পুরোভাগে ; চন্দ্রক কলাপরাশি-নয়ন-রঞ্জন – (১৭) চিদনস নামক নদ——এসিয়া-মাইনরে, এণ্টনি আজ্ঞা মতে ক্লিওপেট্রা তাহার সঙ্গে টারসাসে এই রূপ এ তরণী আরোহণ করিয়া সাক্ষাৎ করিতে যাইতেছিলেন।