পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবকাশরঞ্জিনী । రిషిమా চিত্রিয়াছে কি কৌশলে । নাচিতে নাচিতে চুম্বিয়া সরিৎ-বক্ষ, কহি কাণে কাণে অম্লট প্রণয়-কথা তর তর স্বরে, চলেছে রঙ্গিণী ওই, মৃতুল মৃদুল সৌরভে করিয়া, মরি । ইন্দ্রিয় অবশ । নগর, সজীব দীর্ঘ-দর্শক-মালায়, সাজায়েছে দুই তীর । উচ্চ সিংহাসনে অদূরে নগরে বসি একাকী এণ্টনি, ডাকিছে অস্ফুট সিসে অপহৃত মন । কিন্তু সখি ! তৃষ্ণাতুর সহস্ৰ নয়ন, যেরূপ-সুধাংশু-অণ্ড করিতেছে পান কে ওই রমণী,—সৰ্ব্বদর্শক-দৰ্শন ? রি পেট্র ? আমি ? না, না, সখি ! অসম্ভব } সেই যদি ক্লিওপেট্রা, আমি তবে নহি । আমি যদি ক্লিওপেট্রা, তরী-বিহারিণী ওই চিত্র, নহে সখি ! আমি দুঃখিনীর । সেই মুখে হাসি-রশি, এ মুখে বিষাদ , সে হৃদয়ে সুখ, সখি ! এ হৃদয়ে শোক । সে যে ভাসিতেছে সুখে প্রণয়-সলিলে, আমি ডুবিয়াছি হয় । নিরাশ-সাগরে । ষেই মনোহর বেশ, এই চিত্রে, সখি ! শেভিতেছে মরি ! যেন শারদ-কৌমুদী বেষ্টিয়া কুসুম-বন, আজিও সে বেশে সজ্জিত এ বপুঃ মম ; কিন্তু সহচৰি । সেই শোভা—এই শোভা—কতই অস্তর ! আজি সেই বেশ, স্বর্ণ হীরক খচিত,