পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবকাশরঞ্জিৰী { ૭૭૧ নীরবে, অচল ভাবে করিছে দর্শন সেই সুশীতল রূপ। কেহ বা আনন্দে জ্বলিতেছে ; অভিমানে নিবিতেছে কেহ ; কেহ রূপে বিমোহিত পড়িছে খসিয়া । ছুটিছে জীমূত-বৃন্দ উন্মত্তের প্রায় আলিঙ্গিতে সেই রূপ ; উথলিছে সিন্ধু ; রূপে মুগ্ধ—অধিক কি—ঘুরিছে ধরণী । এই অভিনয় সখি ! দেখিতে দেথিতে কতই নিদ্রিত ভাব উঠিল জাগিয়া হৃদয়ূের | সময়ের তামস-গহবরে, এই চন্দ্রালোকে, অঙ্কে অঙ্কে দেখিলাম লিগত জীবন । কভু ভাবিলাম মনে, আমি চন্দ্র, মেঘবৃন্দ বীরেন্দ্র সকল ; নক্ষত্র মানবচয় ; আমি শশধর, সিন্ধু বীরের অস্তর । আবার কখন ভাবিলাম আমি চন্দ্র, ধরুণী এণ্টনি । ভাবিতেছিলাম পুনঃ এই চন্দ্রালোকে, নব প্রণয়িনী-পাশে, নব অমুরাগে, বসিয়া মুদুর রোমে প্ৰাণেশ আমার, ভুলিছে কি ক্লিওপেট্র ? ভাবিছে কি মনে— ‘কোথায় নীলজ চারু ফণিনী আমার’— সুদীর্ঘ নিশ্বাস সহ ? কিংবা অগস্তার নবীন প্রণয়-রাজ্যে এবে এণ্টনির হয়েছে কি অধিকৃত সমস্ত হৃদয় ? করেছে কি ক্লিওপেট্রা চির-নির্বাসিত ? নবীন সপত্নী নামে, ওলো চারমিয়ন ।