পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سو ريالية নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । জ্বলিয়া উঠিল তীব্র ঈর্ষার অনল স্মণী হৃদয়ে ; যেন বিশুষ্ক কাননে অকস্মাং প্রবেশিল ভীম দব নল । রমণীর অভিমনে রমণী-হৃদয় ভরিল । অরিক্ত নেত্রে ছুটিল অনল । যেই মানসিক বৃত্তি, প্রণয়ের তরে ধরার কলঙ্ক রশি ঠেলেছিল পীয়ে, আজি অপমানে পুন: সেই রক্তি-চয় হ’লে খড়গ-হস্ত সেই প্রণয়-ঘাতকে । সুনুপ্ত ভুজঙ্গ যেন, দুষ্ট প্রহরকে, 魯 বিস্তারিয়া ফণা ক্রোধে ছুটিল দংশিতে ! ‘কি ? মিশরের ঈশ্বরী ! টলেমি-দুহিতা | ক্লিওপেট্রা আমি । রূপে বিশ্ব-বিমোহিনী ! বে রূপের তেজে সেই ভুবন-বিজয়ী সিজারের তরবারি পড়িল খসিয়া ! সামান্ত গুঞ্জিকা তার, সে রূপ-রতন এণ্টনি ঠেলিল পয়ে ?” তীরের মতন বসিল্প শয্যায় ; কিন্তু দুৰ্ব্বল শরীর দুরূহ যন্ত্রণ, চিস্তা সহিতে না পারি, ভুজঙ্গে দংশিতে যেন, পড়িল ঢলিয়া শয্যার উপরে পুনঃ । মধুরে তখন বহিল শীতল ‘নীল’-নীরজ অনিল । কোমল পরশে ধীরে হইল সঞ্চার অন্ধ নিদ্রা, অৰ্দ্ধ মৃচ্ছ, ক্লান্ত কলেবরে । দেখিস্থ স্বপন, সখি, কি যে দেখিলাম, এখনে মুরিতে কেশ হয় কণ্টকিত ।