পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবকাশরঞ্জিনী। ৩৪১ ৷ স্রোতে অভিমান, সখি ! বালির বন্ধন । বলিলাম, ‘সত্য নাথ ! এই ঈদয়ের তুমি অধীশ্বর, কিন্তু বলিব কেমনে এই ক্ষুদ্র রাজ্য তল ? অনস্ত জলধিজলে যেই শশধর করে ক্রীড়া, নাথ ! ক্ষুদ্র সরসীর নীরে মিটিবে কেমনে ক্রীড়া-সাধ, প্ৰাণেশ্বর ! সেই শশাঙ্কের ? প্রণয়-বরিদ তুমি ! তুমি যদি তবে রাখ সসলিলা এই সরসী তোমার, যোগাবে,অনন্ত বারি, এই প্রেমাধিনী’ । -মৈশরী-হৃদয়াকাশে প্রণয়ের শশী প্রকাশিল যদি পুনঃ, মিশরে আবার ছুটিল দ্বিগুণ বেগে আমোদ জোয়ার কত রাজ্য সিংহাসন, আসিল ভাসিয়া ক্লিওপেট্রা-পদতলে বলিব কেমনে। সমস্ত পূর্ব রাজ্য মিলি এক তানে,— পূরব রাজ্যের রাণী, মিশর ঈশ্বরী – গাইল আনন্দস্বরে ! সেই ধ্বনি রোমে জাগাইল মুগু সিংহ কনিষ্ঠ সিজার (২২) কুক্ষণে ! কুগ্রহ সখি ! হইল তখন ক্লিওপেট্রা, এণ্টনির অদৃষ্টে সঞ্চার। শুনিমু গৰ্জ্জন তার সহস্ৰ কামানে, মিশরে বসিয়া সখি ! চুটিল হর্যক্ষ অসংখ্য অর্ণব পোতে, গ্রাসিতে মিশরে, (২২) কনিষ্ঠ সিজার-অগষ্টাস সিজার !