পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । প্রথম যৌবনে এই আত্ম-নির্যাতন, পদ্মাগর্ভে বরিষার প্রথম প্রবাহ,—” তীব্র যন্ত্রণায় স্মৃতি করিল তখন যুবকের কণ্ঠরোধ। যুবা রহিল চাহিয়া স্থিরনেত্ৰে উদ্ধমুখে আকাশের পানে,— . বিষাদের মূৰ্ত্তি যেন গঠিত পাষণে । পুষ্পহারে রমণীর মৃদু আকর্ষণে ভাঙ্গিল যুবার ধ্যান ;–“এই নেও, প্রণ " আলার একটী ফুল করিল প্রদান । *সেই ছায়া বক্ষে করে আশু দেশাস্তরে চলিলাম, সে কথা কি মনে আজ পড়ে ? . অ ধারে অলিন্দে তুমি ছিলে দাড়াইয়া । মাতৃপাশে, নত শিরে নমিনু তোমারে । সকলে ভাবিল ভ্রম ; হাসিলাম আমি মনে মনে । ধরে প্রেম কি দিব্য নয়ন, অন্ধকারে দেখে, থাকে যথা প্রিয়জন কি যে বিজলির খেলা মানব-হৃদয়ে খেলে নাহি জানি, তব নিকটে অসিলে, খেলিত যে উৰ্ম্মি মম শোণিত-সলিলে, অ ধারে, অদৃশুে, তুমি থাক লুকাইয়া, স্বাইত শোণিতে মম বিজলি খেলিয়া । নহে ভ্রম ; কহিলাম নমিয়া চরণে বিদায়ের কালে-“থাকি যথায় যখন, পুহিলাম উপাসক জন্মের মতন।” অন্ধকারে সঙ্কোচিত দিলে আলিঙ্গন, দেখিলে না তরলগ্নি বর্ষিল নয়ন ।