পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| | \৪১৬ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী বহে কি না বহে শ্বাস, চিস্তায় বিহবল, কুটিল ভাবনাবেশে কুঞ্চিত নয়ন । অনিমেষ-নেত্রে, কষ্টে, যেন একমনে পড়িছে বঙ্গের ভাগ্য অঙ্কিত পাষণে বিধির অস্পষ্টাক্ষরে ; কিংবা চিত সনে প্রাণ ষেন আরোহিয়া কল্পনা-বিমানে, সময়ের যবনিকা করি উদ্‌ঘাটন, বঙ্গ ভবিষ্যৎ-সিন্ধু করে সস্তরণ | - ১২ 變 একটী রমণীমূৰ্ত্তি বসিয়া নীরবে, গৌরঙ্গিণী, দীর্ঘ-গ্রীবা, আকর্ণ-নয়ন,— শুক-তারা শোভে যেন আকাশের পটে, শোভিছে উজলি জ্ঞান-গৰ্ব্বিত বদন । আবার পলকে সেই নয়নযুগল, স্নেহের সলিলে হয় কোমলতময় ; এই বর্ষিতেছে ক্ৰোধ-গরিমা-গরল, অমনি দয়াতে পুনঃ দ্রীভূত হয় । বিশ্বব্যাপী সেই দয়া, জাহ্নবী যেমন, সমস্ত বঙ্গেতে করে সুধা বর্ষিণ । } ১৩ । স্বস্নিগ্ধ নয়নে, ওই গম্ভীর বদনে, করতলে বামগও করিয়া স্থাপন, । ভাবিছে জানকী যেন অশোক কাননে আপন উদ্বার-চিত্ত, বিষাদিত মন। আবার এ দিকে দেখ, স্বতন্ত্র আসনে । মীরবে বসিয়া এক তেজস্বী যবন. ।