পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পলাশির যুদ্ধ । ૮૨૧ হতভাগ্য নবাবের যত মহিষীর শুনেছে রে দিনধ্বনি, চিত্ত দ্রবকর । জাহ্নবী-তিমির-গর্ভ-খনির ভিতরে পুমণী-রতনপ্লাশি”—বাক্য নাহি সরে । 3 శ్రీ দাড়াইল অনুচর স্তম্ভিত অন্তরে, যেন কেহ অকস্মত গ্রীবা নিপীড়নে পরিয়াছে কণ্ঠরোধ । মুহূৰ্ত্তেক পরে,— “যুবরাজ হয় ! এই উদর কারণে কত তা কত পাপ করেছি সাধন, কিন্তু এই শেষ”—চর নীরব আবার— “অন্ধকারে বিদারিয়া জাহ্নবী-জীবন করুণ মুমূযু যেই নারী-হাহাকার উঠিল আকাশপথে,—জীবনে, মরণে, নিরস্তর সেই ধ্বনি বাজিবে শ্রবণে ।

^রলিল সে ধ্বনি যেন নিয়তিবচন--- বিনা দোষে ডুবাইল যত অবলারে, বিনা মেঘে বজ্রাঘাতে মরিবে মিরণ ” নারীহস্ত পাপিষ্ঠের এই সমাচারে, একটি বিদ্যুৎজ্যোতিঃ মিরণ-শরীরে আপাদমস্তক যেন হ’ল সঞ্চালিত ; স্থিরনেত্রে কিছুক্ষণ চাহিয়া প্রাচীরে ; মাদকে অবশ দেহ হইল কম্পিত । ইংরাজের বীরকণ্ঠ উঠিল ভাসিয়া, হেন কালে “হিপ হিপ হুর রে ” বলিয়া ।