পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমতী । 金钱* যাই আমি ”—ঋতুপতি সরোষ অস্তরে— কেড়ে নিলা বস্থধার কবরী কুসুম, হস্তে র বলয় লতা ; কণ্ঠের কোকিল ; বল্লরী লহরী-পঞ্চ । মলয় গহবরে করি অবরুদ্ধ স্নিগ্ধ মলয় অনিল ; শুকাইযু কুঞ্জলত, নব পত্রাবলি ; শীতল শুমল শোভা করিয়া হৱণ ; কৌমুদী হাতপ বাসে করি স্থানে স্থানে নীল নীরদের ছায়া, কালিমা, অর্পণ ; চলিল, বেগে । হেন কালে বস্কন্ধরা পরিয় চরণে, মেঘে মলিনিয়া মুখ, কল কল্লোলিনী নাদে যুড়িলা ক্ৰন্দন,— গুবরেক ফিরিয়া প্রভো ! দেখ একবার, এই অভাগিনী প্রতি ! নহে দোষী দাসী । ষড় ঋতু-আজ্ঞাধীনী করিল দাসীরে বিধাতা ; কেমনে বল খণ্ডিবে তাহার সে নিৰ্ব্বন্ধ, এ কিঙ্করী ? এই রঙ্গভূমে ক্রমে ক্রমে ছয় ঋতু করে অভিনয় । রক্ষয়িত্রী মাত্র দাসী । যখন যে বেশে সাজা ও দাসীরে আসি, সাজে দাসী কঁলে, জলে, মেঘে, চন্দ্রলোকে । দাসীর কি দোষ ? বৃথা গঞ্জ তারে, প্রভু !” বসন্তু তখন ফিরায়ে বদন, চাঙ্গি বস্কন্ধরা পানে কহিল—“ধরিত্রি । নহে মার্জনীয় দোষ তব, কিন্তু আছে এই প্রায়শ্চিন্তু তার ;–