পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমতী । সংসারের সুখ দুঃখে সম উদাসিনী আমি ; কিন্তু, হায়, তব জননীর তরে । করুণ মাক্ষেপে, মম কঁাদিল হৃদয়,— ভেসে গেল যোগবল, যোগ-কঠোরতা, ংসার-মায়ায় পুনঃ,—পুনঃ নিষ্পেষিত রমণীর চিত্তবৃত্তি উঠিল জাগিয়ু । কেবল এখন নহে ; এই কয় দিন, জ্বরেতে অজ্ঞান, বৎস ! আছিলে যখন, কখন বা ‘মা মা’ বলি ছাড়িতে নিশ্বাস, কখন অস্ফট স্বরে, বলিতে মধুরে, ‘কুসুমিকা’ । বল, বৎস! নাহি কি তোমার জননী রতনগর্ভা ? হায় । ভাগ্যবতী নাহি জানি কত ফুঃখে গিয়াছে ছাড়িয়া হেন পুত্রনিধি ! বল, বৎস, তুমি ষারে দেখিলে স্বপনে, কেবা সেই কুসুমিকা ?” লজ্জাভারে বীরেন্দ্রের নয়ন-পঙ্গব নামিল , আবার যুবা তুলিয়া নয়ন উত্ত্বরিল-“ভগৰতি ! হায় ! এ সংসার দুঃখণব ; হুনিবার লহরী তাহার ন। পরে পশিতে কিন্তু তাপস-আশ্রমে পুণ্যধাম, আমি কেন কলুষিব তাহা আমার দুঃখের স্রোতে ? হতভাগ্য আমি ? আমার জীবন সেই সমুদ্র-লহরী অবিচ্ছিন্ন ! ভগবতি, তবু যদি তব শুনিতে বাসনা, তবে বলিৰ এখন — “অষ্টম বৎসর যবে,—এই দীপালোকে