পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমর্তী । به هری গুনিলাম দস্ক্যধ্বনি, অস্ত্র ঝনৎকাল্প, সেনাপতি সাস্ত্যখার কক্ষে অকস্মাৎ । পশিষ্ট্র বিদ্যুতবেগে, বিছাতের বলে কপাট ভাঙ্গিয় কক্ষে, দেখিলু সম্মুখে সেনাপতি-পুত্রসহ প্রহরি-নিচয় রক্তাক্ত ভূতলে , তার বিক্রমে শিবজী আক্রমিছে সৈন্তেশ্বরে প্রস্তারিছে আসি ;– এক লম্ফে লই লাম পাতিয়া কলক । বিদারিয়া বৰ্ম্ম, অসি তীর বেগে, দেবি, নামিল হৃদয়ে ক্ষম : বাতাম্বন পথে মুহূৰ্ত্তেকে সেনাপতি হ’ল অস্তদ্ধান । একাকী সহায়হীন যুঝিলাম আমি কিছুক্ষণ,—নাহি স্মৃতি কি ঘটিল পরে । “চেতন পাইমু যবে,—কতক্ষণে, কিংবা কত দিনে নাহি জানি,—দারুণ ব্যথায় জানিলাম শরীরের অস্তিত্ব কেবল । অস্ত্রাঘাতে বিকল ক্ষ ; নাকি সাধা, হায়, একটা অঙ্গুলি মাত্র কীর সঞ্চাঙ্গন । দেখিলাম বালাকের মুদুল কণে আলোকিত পটগুহে, মুচ রু শয্যায় রয়েছি শায়িত আমি । এক মম বসিয়া শঙ্কর, অন্য পাশে বারমুক্তি এক, বসিয়া নীরবে । অদ্ধ-স্ফুট স্বরে । জিজ্ঞাসিমু-“কোথা আমি ?’-চাহি বীর পানে । ‘মহারাষ্ট্র শিবিরেতে "-"বন্দী আমি তবে ?”— বক্ষঃস্থল হতে বেগে ছুটিল শোণিত ;