\S* নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । পলন, দেখিলা সবে আতঙ্কে, বিস্ময়ে, ভাসিছে প্রতিমা এক কাঞ্চীর সলিলে । ঝাপ দিয়া ভক্ত রায় লইলা মস্তকে মহানন্দে ধাতুময়ী পবিত্র প্রতিমা ; নিৰ্ম্মাইয়া এ মন্দির কপিল স্থাপন । সেই দিন হতে এই চট্টল ব্যাপিয়া । ছড়াইল জননীর প্রতিষ্ঠা প্রভাব সেীর কর রাশি যেন । প্রভাকর-প্রভা পশে নাই যে গহবরে, নিভৃত কাস্তারে, তথায় ৪ দশভূজা প্রতিভা উজ্জ্বল প্রজ্বলিত,—জলে স্থলে, ভূধরে, কন্দরে। প্ৰণমিয়া ভক্তিভরে পর্বত-ঈশ্বরী, মন্দিরের এক প্রাস্তে বসিলা দুজনে শিলাসনে । আলিঙ্গিয়া স্নেহে বাম করে, সরাইয়। ধীরে আলুলায়িত কুস্তল, চুম্বিলেন তপস্বিনী মলিন বদন কুসুমের, চুম্বে যথা উষা দেবী চারু, নব তামরস, ধীরে সরাইয়া কাল নিশীথিনী ছায়া । কিংবা দক্ষ চিত্রকর চারু চিত্র হতে, ধীরে মুকোমল করে সরাইল যেন সুক্ষ কলঙ্কের রেখা । স্নেহময়ী তপস্বিনী, স্নেহের উরসে, রাথিয় সে বালিকার কুসুম বদন বিমলিন, স্নেহভরে চুম্বিলা আবার । জিজ্ঞাসিল—“কহ বৎস, কেন আজি তব এমন বিষাদ ছবি ? বিষাদ সঙ্গীত
