পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমতী । 업 ) > অন্বেষিতে বীরবরে ; নিরাশ হইয়। দেবি, ফিরিলাম আমি । “আসি সীতাকুণ্ডে পথশ্রমে বসিয়াছি অৰসন্ন কায়, হ্যাস-সরোবর তীরে বটবৃক্ষ মূলে, সস্তাষিল বৃদ্ধ এক প্রণমি আমাবুে । শুনি মম সমাচার নীরবে প্রাচীন, প্রসারি দক্ষিণ কর, কহিল আমারে— না পারি কহিতে সেই যোদ্ধার সন্ধান কিন্তু পত্র স্তব যদি দেও এ দাসেরে, প্রদানিব যথাকলে সেই বীর-করে ” ন দেখি উপায়াস্তর ভাবি কিছুক্ষণ, ক্ষসিতু প্রাচীনে পত্র করিয়া অৰ্পণ ।” যোগিনী অচল নেত্রে প্রাঙ্গণের পানে নীরবে রহিল চাহি, যেন চিস্তাশ্ৰেণতে রমণী জীবন মন গিয়াছে ভাসিয়া । নিঃশব্দ চরণে বিপ্ৰ হইল অস্তর, নীরবে প্রণমি সেই নীরব যোগিনী । চিস্তা-অস্তে তপস্বিনী ফিরায়ে বদন চমকিলা—এ কি মূৰ্ত্তি, প্রতিমূৰ্ত্তি যেন ? স্থির বিস্ফরিত নেত্রে, উন্নত গ্রীবায়ু চেয়ে আছে কুহুমিকা—অনিশ্বাস নাসা— দেবীর চরণ-প্রান্তে রক্ত-জবা পানে । বর্শাঘাতে বীরেন্দ্রের ভূতলে পতন— করি কর্ণে বঞ্জনাদ, তড়িতের মত পশিয়া অগুরুত্তরে, করিল বামায়