পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । অচেতন, যেন স্বর্ণ প্রতিমার মত । দেখিলা যুবতী, সেই ক্ষুদ্র রক্তজবা, দেখিতে দেখিতে ক্রমে প্রসারিয়া দল, লোহিত সমরক্ষেত্ত্বে হ’ল পরিণত । দেখিলা ভীষণ রণ, রণ,-বিভীষিকা । শত শত নৈশ রণে ; শুনিলা শ্রবণে কামান গর্জন ; সেই অস্ত্র ঝনৎকার । দেখিলা বিস্ময়ে, সেই মহারণ-স্থলে বীরেন্দ্র বিদীর্ণ-বুক রহেছে পড়িয়া অনিৰ্ব্বাণ উল্কা যেন, অ-শিখ মনল,— অচল দর্পণ-নেত্রে কুসুমিকা পানে চাহিয়া কাতর দৃষ্টি । মূৰ্ছাগত বালা ঢলিয়া পড়িতেছিল, ধরিলা যোগিনী, প্রসারিয়া ভূজস্বয় । কহিলা কাতরে“কেন বাছা ! কেন এত হইলে অধীরা ? নিশ্চয় বীরেন্দ্র মম পেয়েছে লিখন ; এ মুহূৰ্বে আগমন নহে অসম্ভব । ষাও, বংসে, ষ গৃহে ! ওই সন্ধ্যা দেবী আসিছেন শান্তিছায়া লইয়া কাননে, পধিবেন শাস্তি তব কোমল শয্যায় ।” এত বলি তপস্বিনী চুম্বিয়া বদন বিদাইল দুঃখিনীরে । নীরবে যুবতী চলিলা যন্ত্রের মত, দেখিতে দেখিতে বিশাল নয়নে সেই রণ-প্রতিকৃতি গোধূলি-আকাশ-পটে । মুক্ত কেশরাশি ঝুলিছে অসাবধানে অঞ্চলের সনে,