পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৮০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমতী । १३:४ রক্ত বস্ত্রে, রণ অস্ত্রে, তুরঙ্গের গায়ে, কি শেতা হইবে বল ! এই শৃঙ্গে যদি হয় সুরচিত এক বিলাস-উদ্যান, সঙ্গীতের তানে তানে নাচে শিশুগণ হাসে উচ্চ হাসি যুই, যুবতী মধুরে সঙ্গীতের তালে তালে প্রেম আলাপনে বিমুগ্ধ", সংসার-চিন্তা হইয়া খ্রিস্থত — অহো ! কিবা কাল্পনিক চিত্র মুগ্ধকর ” নীরবিলা যুবা । বৃদ্ধ বলিল তখন— “কল্পনার চিত্র কেন ? সাধ হয় যদি এই খানে রাজধানী কর না স্থাপন ? আসিছেন বঙ্গেশ্বর বরিতে তোমায় পিতৃ-রাজ্যে, শুনিয়াছি” .籌 “ষবনের দান’ সগৰ্ব্বে বলিলা যুবা—”ৰ্বাধিয়া গলায় বরং উপলখও, কালিনীর নীরে দিব ঝ প। শুনিয়াছ নিজ কর্ণে তুমি, করিয়াছি কি প্রতিজ্ঞ শিবঞ্জীর কাছে । নাহি বহু দিন আর, জলেছে আবার দক্ষিণাত্যে শিবাজীর সমর অনল । পুড়িছে পতঙ্গ মত বিধৰ্ম্মী যবন । ভারত-দাসত্ব-পশি ভস্মশেষ প্রায় সে তীব্র অনল তাপে,—বিধি অমুকুল ! নাহি বহু দিন আর, সেই বহ্নিশিখা বঙ্গের পশ্চিম প্রাস্তে দেখা দিবে যবে, ভন্সিয়া মোগল রাজ্য, জালি ভীমানল