পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমতী । নাহি দেখা দেও যদি, দেখিবে না আর অভাগিনী কুসুমেরে –শিহরিলা যুবা— “আজি সে অষ্টমী নিশি । মুহূৰ্ত্ত, মুহূৰ্ত্ত, যত যাইছে বহিয়, যাইছে শুধিয়া জীবন-শোণিত মম । দেখিতে দেখিতে পড়িছে ঢলিয়া রবি অস্তাচল শিরে । চল, বৎস, চল । কিন্তু চলিতে চরণ নাহি চলে, অচলাঙ্গ অমঙ্গল ভারে । সংখ্যাতীত শক্র মধ্যে পশিতে একাকী, • একটী-একটা কেশ কঁপে নাই যার, আজি তার এই দশা ! চল, বৎস, চল ।” “এ কেমন উন্মত্ততা—বলি শঙ্কর, • “কেমনে চলিবে পদ ? সপ্ত দিবা নিশি ক্ষত বক্ষে জরাচ্ছন্ন আছিলা মূচ্ছিত । কুলমাত অমুকুল, শিথিয়ছিলাম অমোঘ প্রলেপ যত শিবজী-শিবিরে, নতুবা নিশ্চয় হ’ত জীবন সংশয় । কয় দিন মাত্র বৎস! পেয়েছ চেতন । নিষেধিস্থ কত, তবু উন্মত্তের মত চলিলে এ দীর্ঘ পথ । কঁদিছেন বৃদ্ধ । পিতা তব, নাহি দিলে জানাতে র্তাহারে । পিতৃ-স্নেহ, রাজ্য-আশা, চুল্লভ জীবন, সকল সংসার, নাহি বুঝিন্থ কেমনে, একটা বালিক তরে দিলে বিসর্জন । ললাটের ঘৰ্ম্মবিন্দু এখনো ললাটে রহিয়াছে, তিল মাত্র না করি বিশ্রাম, '