পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমতী । , 呜呜莎 পাইতাম কত স্থখ ; কত ভক্তি ভরে, নমিতাম, চাহিতাম লইবারে বুকে সেই ক্ষুদ্র প্রতিমায় । গিয়াছে শৈশব ; জননী-অভিন্ন-জ্ঞান সেই প্রতিমায় এপনে রহেছে, বৎস, হৃদয়ে আমার । “মাতৃহীন শৈশবান্তে, দিলাম কৈশোরে বিদেশ-সমুদ্রে বীপ ছাড়িয়া জনকে, পতঙ্গ অনলে যথা ; তাপিত সলিলে ! সেই দেব-নেত্র হতে কি যে অশ্রুধারা পরিল সে যাত্রা-কালে ; কি ষে স্নেহ ভরে চুম্বিলা জনক বক্ষে ধরিয়া আমারে, প্লাবিয়া বদন মম নয়ন ধারায় ! কুত যে কাদিলা পিতা কত নিষেধিল । সেই অশ্রু-সিক্ত মুখ, সেই স্নেহ-ভাষ', সেই স্নেহপূর্ণ বক্ষ,—চলিলাম তবু, বারাণসী নিরখিতে সে মহা শ্মশান ! চলিলাম, খুচাইয়া কোমল বেষ্টন সেই ক্ষুদ্র বল্লবীর, এক মাত্র স্বথ কৈশোরের নিক্ষেপিয়া নিবিড় কাননে । ঘোর দুরাকাঙ্ক্ষা-স্রোতে গেলাম ভাসিয়া,— কোথায় ? কতই দুর্গ করিমু নিৰ্ম্মাণ আকাশে, কতই স্বপ্ন দেখিমু জাগিয়া, জান তুমি সব । কিন্তু যথায় যখন, এই তিন মূৰ্ত্তি সদা হৃদয়ে স্থাপিত— জনক, জননী, আর বালিকা কুসুম ! ধরাতলে এই তিন দেবতা আমার }