পাতা:নবীন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবীন

ওকে দেখাচ্চে যেন জ্যোৎস্না সমুদ্রের ঢেউয়ের চূড়ায় ফেনপুঞ্জের মতো—কিন্তু সে ঢেউ-যে চিত্রাপিতবৎ স্তব্ধ। এদিকে আজ বিশ্বের বিচলিত চিত্ত দক্ষিণের হাওয়ায় ভেসে প’ড়েচে, চঞ্চলের দল মেতেচে বনের শাখায়, পাখীর ডানায়, আর ঐ কি একা অবিচলিত হয়ে থাকবে, নিবাতনিষ্কম্পমিবপ্রদীপম্? নিজে মাতবে না আর বিশ্বকে মাতাবে, সে কেমন হোলো? এর একটা যা-হয় জবাব দিয়ে দাও।

কে দেবে চাঁদ তোমায় দোলা
আপন আলোর স্বপন মাঝে বিভোল ভোলা।
  কেবল তোমার চোখের চাওয়ায়
  দোলা দোলা হাওয়ায়া হাওয়ায়,
  বনে বনে দোল জাগালো
      ঐ চাহনি তুফান-তোলা।
আজ মানসের সরোবরে
কোন্ মাধুরীর কমল কানন
  দোলাও তুমি ঢেউয়ের ’পরে।
  তোমার হাসির আভাস লেগে
  বিশ্বদোলন দোলার বেগে
  উঠলো জেগে আমার গানের
      হিল্লোলিনী কলরোলা॥

আজ সব ভীরুদের ভয় ভাঙানো চাই। ঐ মাধবীর দ্বিধা-যে ঘোচে না। এদিকে আকাশে আকাশে প্রগল্ভতা অথচ ওরা