পাতা:নবীন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
নবীন

পুলকিত আম্রবীথি ফাল্গুনেরি তাপে,
মধুকর গুঞ্জরণে ছায়াতল কাঁপে।
কেন জানি অকারণে
সারাবেলা আনমনে
পরাণে বাজায় বীণা কে গো উদাসীন॥

 হে সুন্দর, যে-কবি তোমার অভিনন্দন ক'রতে এসেছিলো তা’র ছুটির দিন এলো। তা’র প্রণাম তুমি নাও। যে-গানগুলি এতদিন গ্রহণ ক’রেচো সেই তা’র আপন গানের বন্ধনেই সে বাঁধা রইলো তোমার দ্বারে—তোমার উৎসবলীলায় সে চিরদিন র’য়ে গেল তোমার সাথের সাথী। তোমাকে সে তা’র সুরের রাখী পরিয়েচে—তা“র চিরপরিচয় তোমার ফুলে ফুলে, তোমার পদ-পাত-কম্পিত শ্যামল শল্পবীথিকায়।

বসন্তে বসন্তে তোমার কবিরে দাও ডাক;
যায় যদি সে যাক॥
রইল তাহার বাণী রইল ভরা সুরে,
রইবে না সে দূরে;
হৃদয় তাহার কুঞ্জে তোমার
রইবে না নিবর্বাক॥
ছন্দ তাহার রইবে বেঁচে
কিশলয়ের নবীন নাচে নেচে নেচে।