এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবীন
২৩
চ’লে যাওয়ার ভঙ্গীটি আবার এসে মেলে সাম্নের দিকে ফিরে, আসায়—শেষ পর্য্যন্ত দেখতে পাইনে, হায় হায় করি।
এখন আমার সময় হোলো,
যাবার দুয়ার খোলো খোলো।
হোলো দেখা, হোলো মেলা,
আলো ছায়ায় হোলো খেলা,
স্বপন যে সে ভোলো৷ ভোলো ।
আকাশ ভরে দূরের গানে,
অলখ দেশে হৃদয় টানে।
ওগো সুদূর, ওগো মধুর,
পথ ব’লে দাও পরাণবঁধূর,
সব আবরণ তোলো তোলো॥
বিদায় বেলার অঞ্জলি যা শূন্য ক’রে দেয় তা পূর্ণ হক কোন্খানে সেই কথাটা শোনা যাক্।
এ বেলা ডাক প’ড়েছে কোনখানে
ফাগুনের ক্লান্তক্ষণের শেষ গানে!
সেখানে স্তব্ধবীণার তারে তারে
সুরের খেলা ডুব সাঁতারে,
সেখানে চোখ মেলে যার পাইনে দেখা
তাহারে মন জানে গো মন জানে॥