পাতা:নব্য-ন্যায় (ব্যপ্তি-পঞ্চক) - রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

히 1 ܬܠ assisse MeftestēSS TsaeÍTS যাহা হউক, এতক্ষণে পাঁচটীলক্ষণেরই অর্থ এক প্রকার বুঝা গেল। কিন্তু এখন মনে হইতে পারে যে, তাহা হইলে পঞ্চম লক্ষণটাই বাপ্তির প্রকৃত লক্ষণ। কারণ, ইহার পর ত আর ষষ্ঠ কেনি লক্ষণ করা হয় নাই। কিন্তু বাস্তবিক তাহা নহে। মহামতি গঙ্গেশোপাধ্যায়ের চক্ষে ইহারও দোষ দৃষ্ট হইয়াছে; তাহার মতে ইহাও অপুর্ণ লক্ষণ। কারণ, যেস্থলে সাধ্য কেবলম্বয়ী হয়-ন্যায়ের ভাষায়-যে স্থলে অনুমিতিটা কেবলান্বয়ি-সাপ্যক হয়, সেস্থলে এই পাঁচটী লক্ষণের কোনটাই প্ৰযুক্ত হইতে পারে না । দেখ, কেবলম্বায়ি-সাধক অনুমিতির একটী দৃষ্টান্ত 665sas sittye 2 Case ?? ইহার অর্থ-সকলই বাচ্য, যেহেতু তাঁহা প্ৰমেয়। এখানে বাচ্যত্ব হইল সাধা, এবং প্রমেয়ত্ব হইল হেতু। এখন দেখ, যে পাঁচটা লক্ষণের কথা এতক্ষণ আলোচনা করা হইল, তাহদের প্রত্যেকেই সাধ্যবাদ-ভেদ বা সাধাভাবের কথা রহিয়াছে। সাধ্যবাদ-ভেদ বা সাধ্যাভাবকে ছাড়িয়া কোন লক্ষণই করা হয় নাই। কিন্তু উপরি-উক্ত দৃষ্টান্তে যে সাধ্য রহিয়াছে, তাহা"বীচ্যুত্ব”। বল দেখি, বাচ্যত্বের অভাব কিম্বা সেই বাচ্যুত্ববাদ-ভেদ কি কখন সম্ভব ? যেহেতু তােহা নহে, সেই জন্য উক্ত লক্ষণ পাঁচটি এস্থলে প্ৰযুক্ত হইতে পারিল না। অতএব, অব্যভিচরিতত্বই ব্যাপ্তির লক্ষণ হইল না । ব্যাপ্তির প্রকৃত লক্ষণ গ্ৰন্থকার স্বয়ংই পরবর্তী সিদ্ধান্ত-লক্ষণাদি নামক গ্রন্থে করিবেন। তবে র্যাহার। “ভাষাপরিচ্ছেদ” গ্ৰন্থ পড়িয়াছেন, তঁহার স্মরণ করিতে পারেন ;- “অথবা হেতুমন্নিষ্ঠ-বিরহাপ্ৰতিযোগিনা। সাধ্যেন হেতোরৈকাধিকরণ্যং ব্যাপ্তিরুচ্যতে৷” ৬৯ ৷ ভাঃ পঃ। অর্থাৎ যাহা হেতুমান তাহাতে আছে যে বিরহ অর্থাৎ অভাব, সেই অভাবের অপ্রতিযোগী যে সাধ্য, সেই সাধোর সহিত হেতুর যে একাধিকরণত, তাহাই ব্যাপ্তি। যেমন “বহ্নিস্নান সুচনাৎ” স্থলে সাধ্য = বহ্নি, হেতু = ধূম । হেতুমিৎ = ধূমাবৎ । হেতুমল্পিষ্ঠ অভাব = ধূমাবন্নিষ্ঠ অভাব। ইহা, সাধ্য যে বহ্নি, তাহার অভাব হইল না, পরন্তু ঘট-পটাভাব হইল, এবং তাহার প্রতিযোগী হইতে ঘট-পট হইল, কিন্তু তাহার অপ্ৰতিযোগী হইতে সাধ্য যে ঘহি, তাহাই হইল। এই বহির সহিত হেতু ঘুমের একাধিকরণ-বৃত্তিতা আছে, সুতরাং লক্ষণ যাইল । ,