পাতা:নব্য-ন্যায় (ব্যপ্তি-পঞ্চক) - রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO ቔ፻ifg-°†ቁቐጻ ! এইরূপ “এখুন্নবান বহ্নেঃ” স্থলে সাধ্য = ধুম, হেতু = বহ্নি। হেতুমৎ= বহ্নিমৎ। হেতুমন্নিষ্ঠ অভাব = বহিমন্নিষ্ঠ অভাব = অৰ্থাৎ তপ্ত-অয়োগোলকনিষ্ঠ অভাব। অর্থাৎ ধূমাভাব। ইহার প্রতিযোগী-ধুম। সুতরাং, ইহার অপ্রতিযোগী ধূমরূপ সাধ্যকে পাওয়া গেল না, এবং তজ্জন্য লক্ষণও যাইল না । কিন্তু প্রকৃত কথা বলিতে গেলে ব্যাপ্তির এই লক্ষণও পুর্ণ নহে; কারণ, অন্বয় ও ব্যতিরোকভেদে ব্যাপ্তি দ্বিবিধ, এবং এস্থলে ব্যতিরেক ব্যাপ্তির লক্ষণ আদৌ কথিত হয় নাই, এবং উক্ত লক্ষণটাই যে সর্বত্ৰ প্ৰযুক্ত হইবে তাহাও নহে। তবে অবশ্য, ইহা যে অধিক-স্থলব্যাপী তাহাতে সন্দেহ নাই। যাহা হউক, পাঠক বর্গের সুবিধার জন্য এস্থলে আমরা ব্যতিরেক ব্যাপ্তির লক্ষণটাও উল্লেখ করিলাম ; লক্ষণটি এই,- “সাধ্যাভাবব্যাপকত্বং হেত্বভাবস্য যদা ভবেৎ। ।” ১৪৩ । ভাঃ পঃ । ইহার অর্থ-সাধ্যাভাবের ব্যাপকীভূত যে অভাব, সেই অভাবের যে প্রতিযোগিত্ব হেতুনিষ্ঠ, তাহাঁই ব্যাপ্তি । ইহা, যেস্থলে সাধ্যাটী অভাব পদার্থ হয়, সেই স্থল-বিশেষে প্রয়োজন হয় । যেমন, যেখানে 譬 ਭ% ? এইরূপ অনুমিতি করিতে হইবে, সেই স্থানে এই ব্যাপ্তির প্রয়োজন হইবে। কিন্তু তাহা হইলেও এস্থলে জানিতে হইবে যে, যাহারা এই বাপ্তিপঞ্চকোক্তি লক্ষণ পাঁচটাকেই ব্যাপ্তির লক্ষণ বলেন, তাহদের যে এস্থলে কিছু বলিবার নাই, তাহা নহে। তাহারা কেবলম্বায়ি-সাধ্যক স্থলে এই লক্ষণ পাঁচটা যায় না বলিয়া ইহার যে, কোন দোষ ঘটে, তাহাই স্বীকার করেন না ; অর্থাৎ তঁহার কেবলম্বায়ি-সাধ্যাকস্থলে যে, অনুমিতিই আদৌ সম্ভব, তাহাই স্বীকার করেন না । তাহার পর কেবলান্বয়ি-সাধ্যাকস্থলের লক্ষণ যে এক প্রকার, তাহাও যে, সকলে স্বীকার করেন, তাহাও নহে। এ সম্বন্ধে মহামতি গঙ্গেশ পৃথক একটী পরিচ্ছেদ কারে অনেক কথা লিখিয়াছেন। পরিশেষে বক্তব্য এই যে, আমরা এ পৰ্য্যন্ত যেভাবে প্ৰত্যেক লক্ষণের অপুৰ্ণতা প্ৰদৰ্শন করিয়া পরবর্তী লক্ষণের প্রয়োজনীয়তা দেখাইয়াছি, তাহা বঙ্গগৌরব মহামতি রঘুনাথ শিরোমণির পদাঙ্ক অনুসরণ করিয়া ; টীকাকার মথুরানাথ তর্কবাগীশ মহাশয়, কিন্তু, সেরূপ করেন নাই। তিনি, লক্ষণ গুলিতে “নিবেশ” করিয়া তাহাদিগকে প্রায় পুর্ণতার সীমায় সমানীত করিয়াছেন, এবং কেবলম্বন্ধি-সাধ্যক স্থলে ইহাদের দোষভাগ ত্যাগ করিলে এই লক্ষণ পাঁচটী মিলিত হইয়া ব্যাপ্তির লক্ষণকে পুর্ণ করিয়া তুলে। এক্ষণে টীকাকার মহাশয়ের প্রসাদে এই লক্ষণ পাঁচটীর রহস্য বুঝিতে চেষ্টা করা যাউক ।