পাতা:নব্য-ন্যায় (ব্যপ্তি-পঞ্চক) - রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NSON बा७ि-°थक-झश्रुअश् । হইলে অব্যয়ীভাব সমাস হয়। এখন, যেমন “ভূতলোপাকুন্তম” এবং “ভুতলাঘাটম” এই দুই স্থলে ভূতলের সহিত কুম্ভ এবং ঘটের অন্বয় হয় না ; পরন্তু উপকুন্তু পদের সামীপবোধক “উপ” অবায়ের, এবং অঘট পদের অভাববোধক নঞ রূপ অব্যয়ের সহিত অন্বয় হয় ; তদ্রুপ, “সাধ্যাভাবিবদ্যুবৃত্তিত্বম” এস্থলে সাধ্যাভাবিবতের সহিত বৃত্তম পদের অন্বয় হয় না। পরস্তু, অবৃত্তম পদের নঞর্থ অভাবের সহিত অন্বয় হয়। অথচ লক্ষণানুসারে সাধ্যাভাবিবতের সহিত বৃত্তেরই অন্বয় হওয়া আবশ্যক। নচেৎ লক্ষণাটীর অর্থই সম্ভব হয় না । ঐরূপ যদি-বৃত্তেঃ অভাব: ==অবৃত্তি—এইরূপ অব্যয়ীভাব সমাস করিয়া যদি “সাধ্যাভাববতঃ অবৃত্তি যাত্র” এইরূপ বহুব্রীহি সমাস করা হয়, এবং তৎপরে ভাবার্থে “ত্ব” প্ৰত্যয় করা হয়তাহা হইলেও “ন কৰ্ম্মধারয়ান মত্বর্থীয়ে বহুব্রীহিশেচৎ অর্থপ্রতিপত্তিকরঃ” এই অনুশাসনবিরোধ ঘটিবে না বটে, কিন্তু সাধাভাবিবতের সহিত বৃত্তির অন্বয় হইতে পরিবে না। এক্ষণে জিজ্ঞাস্ত হইতে পারে যে, প্ৰাচীনমতের প্রথমে একটি দোষ-প্ৰদৰ্শন করিবার পর নব্যগণ, আবার দ্বিতীয় একটী দোষ-প্রদর্শনে প্ৰবৃত্ত হইলেন কেন ? এতদুত্তরে বলা যায় যে, সাধ্যাভাববাদ বৃত্তী এই ইন প্ৰত্যয় না। कब्रिया-नीलाडादवड: অবৃত্তম যস্য স সাধ্যাভাববাদ বৃত্ত:—এইরূপ বহুব্রীহি সমাস করিলে “হেতুতে’ সেই বৃত্তিতার অভাবত্তা যে, কোন সম্বন্ধে অভাবত্তা, তাহার কিছু নির্দেশ করিয়া বলা হয় না। বাস্তবিকপক্ষে, হেতুতে স্বরূপ-সম্বন্ধে উক্ত বৃত্তিতার অভাববত্তাই ব্যাপ্তি হইবে। সুতরাং, এই স্বরূপসম্বন্ধকে লাভ করিবার জন্য প্রাচীনগণ, কৰ্ম্মধারয় অর্থাৎ এস্থলে তৎপুরুষের পর মাতুপ্ত প্ৰত্যয় করিয়াছেন। দেখ, যদি স্বরূপ-সম্বন্ধে সেই বৃত্তিতাভাববত্তাকে ব্যাপ্তি না বলিয়া যে-কোনও সম্বন্ধে তাদৃশ বৃত্তিতাভাববত্তাকে ব্যাপ্তি বলা যায়,তাহা হইলে“ধূমাবান বহ্নেঃ” এই আসদ্ধেতুক অনুমিতিস্থলে অতিব্যাপ্তি দোষ হয়। কারণ, সাধাভাবাধিকরণ যে অয়োগোলক, তন্নিরূপিত সংযোগসম্বন্ধাবচ্ছিন্ন বৃত্তিতাভাব, পৰ্বতীয় তৃণাদিতে স্বরূপ-সম্বন্ধে থাকিলেও উক্ত-স্থলের “হেতু” বহ্নিতে কালিকসম্বন্ধে থাকিতে কোন বাধা হয় না। অর্থাৎ, সাধাভাবাধিকরণ-নিরূপিত বৃত্তিতার অভাব এস্থলে হেতুতে থাকে, এবং তাঁহার ফলে ব্যাপ্তির লক্ষণাটী অসদ্ধেতুক অনুমিতিতে যায়। প্ৰাচীনগণের এইরূপ উত্তর আশঙ্কা করিয়া টীকাকার মহাশয় উক্ত দ্বিতীয় দোষ-প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন । এস্থলে টীকাকার মহাশয়-“তৎসমাসানিবিষ্ট-পদাৰ্থন্তরান্বিয়ম্ভ অবুৎপন্নত্বাৎ” এই কথার মধ্যে “অন্তর” পদটা প্রয়োগ করিয়া অভিজ্ঞ পাঠককে অনেক কথা ইঙ্গিত করিয়াছেন। • আমরা একথা এস্থলে আলোচনা করা যুক্তিযুক্ত বিবেচনা করিলাম না ; পরিশিষ্টে এবিষয়ে আলোচনা করিবার ইচ্ছা রহিল। যাহা হউক এইবার প্রাচীন মতের সমাসার্থে তৃতীয় আপত্তি প্ৰদৰ্শিত হইতেছে