পাতা:নব্য-ন্যায় (ব্যপ্তি-পঞ্চক) - রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e Fe (0: যে অধিকরণনিষ্ঠ অবচ্ছেদকতা (২), সেই অবচ্ছেদকতা ইহা প্ৰতিযোগিতাবিচ্ছেদকের ভিন্ন হইয়া বৃত্তিতত্বনিষ্ঠ যে অবচ্ছেদকতা, সেই অব- অধিকবারক অংশ। এতচ্ছেদকতা (৩) ভিন্ন যে অবচ্ছেদকতা, সেই অবচ্ছেদ- দ্বারা “জলত্ব”অংশের গ্ৰহণ কতার অনিরূপিত - j সম্ভাবনা নিবারিত হইবে। অথচ অধিকরণনিষ্ঠ যে অবচ্ছেদকতা, সেই অবচ্ছেদকতার ") ইহা উহারই নূ্যনবারক (২) নিরূপিত হইয়া বৃত্তিতত্বনিষ্ঠ যে অবচ্ছেদকতা, াৈ অংশ এতদ্বারা বৃত্তিত সেই অবচ্ছেদকতার (৩) নিরূপিত- অংশটুকু ত্যাগ করা যায় না যে প্ৰতিযোগিতা (১) সেই প্ৰতিযোগিতার নিরূপক যে অভাব, সেই অভাবই উক্ত সাধ্যা ভাবাধিকরণ-নিরূপিত বৃত্তিতার সামান্যাভাব।” ইহাই হইল প্ৰস্তাবিত সামান্যাভাবের পর্যাপ্তি। ইহাই বুঝাইবার জন্য ইতিপূৰ্বে আমরা কতিপয় পারিভাষিক শব্দের অর্থ, তাহাদের ব্যবহার রীতি প্রভৃতি এবং একটী চিত্র প্রদর্শন করিয়াছি। চিত্রমধ্যস্থ সংখ্যা ও তাঁহাদের সাহায্যে ইহা এখন সহজে বুঝা যাইবে আশা করা যায় ; অবশ্য এই সামান্যাভাবের মধ্যে সাধ্যনিষ্ঠ প্ৰতিযোগিতার অবচ্ছেদক যে, ধৰ্ম্ম-ও-সম্বন্ধবিচ্ছিন্নত্ব নিবেশ আছে, তাহার। পৰ্য্যাপ্তি আর এস্থলে কথিত হইল না, ইহা লক্ষণোক্ত “সাধ্যাভাব” পদের রহস্য উদঘাটন-কালে কথিত হইবে। যাহা হউক, এই সামান্যাভাবের প্রতি লক্ষ্য করিয়া টীকাকার মহাশয় প্রদত্ত দৃষ্টান্ত দুইটীর প্রতি দৃষ্টি করিলে দেখা যাইবে যে, তিনি প্ৰথমে যে প্রকারটা প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন, তাহা প্ৰতিযোগিতার অবচ্ছেদকতার অবচ্ছেদকের মধ্যে যদি কোন আধিক্য ঘটে, তাহা নিবারণের জন্য, এবং দ্বিতীয় প্রকারটা, প্ৰতিযোগিতার অবিচ্ছেদকের মধ্যে যদি কোন আধিক্য প্ৰবেশ করে, তাহা নিবারণের জন্য । তন্মধ্যে প্রথমটিকে একীভাবের এবং দ্বিতীয়টাকে উভয়াভাবের দৃষ্টান্ত বলা যাইতে পারে। পরন্তু, ইহারা উভয়েই বিশেষভােব পদবাচ্য হইয়া থাকে। এখন জিজ্ঞাস্য হইতে পারে যে, এই দুই প্রকার দোষের মধ্যে যে পারস্পৰ্য্য আছে, তাহাতে কোন রহস্য আছে কিনা ? বিন্যাস-বিপর্যায়ে কি কোন হানি ঘটিত ? এতদুত্তরে বলা হয় যে, প্ৰথম দৃষ্টান্তটা সাধাভাবাধিকরণ-সংক্রান্ত, এবং দ্বিতীয় দৃষ্টান্তটী উক্ত বৃত্তিতানিষ্ঠ-প্রতিযোগিতাসংক্রান্ত। এখন মূল লক্ষণে এই অধিকরণ পাদটী বৃত্তিত পদের পূর্ববৰ্ত্তী বলিয়া বৃত্তিতানিষ্ঠ প্রতিযোগিতারও পূৰ্ববৰ্ত্তী ; এজন্য অধিকরণ-সংক্রান্ত প্রকারটীর স্থান অগ্ৰেই প্রদত্ত হইয়াছে। মূলের পারস্পৰ্য্য অনুসরণের জন্তই উক্ত “প্রকার” দ্বয়েরও এই পারস্পৰ্য, ইহাই এন্থণের রহস্য বলিয়া বুঝিতে হইবে। পরস্তু, তাহা হইলে, আর একটী কথা সহজেই মনে হইবে যে, লক্ষণমধ্যে প্রত্যেক পদের রহস্য-উদঘাটনে প্ৰবৃত্ত হইয়া টীকাকার মহাশয় লক্ষণের প্রথমোক্ত সাধ্যাভাব সম্বন্ধে